মাস কয়েক আগে সল্টলেকে তাঁর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার গৌরব দত্ত। তাঁর পরিবারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিলেন তিনি। যাতে তাঁর হতাশার জন্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উপর দোষারোপ করেছেন প্রয়াত গৌরব দত্ত।
বুধবার ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে গৌরব দত্তের আত্মহত্যার প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এ দিন বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলায় গুন্ডাতন্ত্র চলছে। পিসি-ভাইপোর প্রশাসনিক মডেলে রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তা এতটাই যে এখানকার আমলাতন্ত্র ও পুলিশও হতাশ। এমনকী এক আইপিএস অফিসারকে আত্মহত্যা করতে হয়েছে।
মোদীর কথায়, যে মানুষটি সারা জীবন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য কাজ করলেন, তাঁকেই আত্মহত্যা করতে হয়। বলতে গেলে, আত্মহত্যা করতে তিনি বাধ্য হয়েছেন।
এর আগে গৌরব দত্তর সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসার পর নবান্নের তরফে অবশ্য বলা হয়েছিল, এ ঘটনায় সরকারের দায় নেই। ওনার মানসিক ভারসাম্য ছিল না।
তবে গৌরব দত্ত ও তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, তাঁকে ঠিক সময়ে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। তা আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক স্তরে তদন্ত চলার নামে তাঁর অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা ও টাকা পয়সাও আটকে রাখা হয়েছিল। সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
তবে সেই চাপানউতোর একটা স্তরে সীমিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী বাংলায় প্রচারে এসে সেই প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তোলায় তা নতুন মাত্রা পেয়ে গেল। নবান্নের তরফে এ ব্যাপারে অবশ্য আর কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে সরকারের একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এ বিষয়ে যা বলার তা মুখ্যমন্ত্রীই বলবেন।