বাজল ভোটের ঘন্টা৷ আজ, সোমবার থেকে প্রথম দফার মনোনয়ন পেশ শুরু হচ্ছে৷ প্রথম দফা অর্থাৎ ১১ এপ্রিল, এরাজ্যের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট রয়েছে৷ উত্তরবঙ্গের দু’টি কেন্দ্র আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভোটগ্রহণ হবে। ওই দু’টি কেন্দ্রের ভোটের বিজ্ঞপ্তি আজ, সোমবার জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনোনয়নপত্র পেশ করা শুরু হবে।
পশ্চিমবঙ্গের দুটি লোকসভা কেন্দ্র ছাড়াও অন্যান্য রাজ্য যেমন, অন্ধ্রপ্রদেশে ২৫ টি আসন, অরুণাচল ২, অসম ৫, বিহার ৪, ছত্তিসগড় ১, জম্মু কাশ্মীর ২, মহারাষ্ট্র ৭, মেঘালয় ২, সিকিম ১, তেলেঙ্গানা ১৭, ত্রিপুরা ১, উত্তরপ্রদেশ ৮, উত্তরাখণ্ড ৫, আন্দামান ১, লাক্ষাদ্বীপ ১ টি আসনে ১১ এপ্রিল ভোট রয়েছে৷
এই সবকটি আসনেই মনোনয়ন আজ থেকে শুরু হবে৷ আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র পেশ করা যাবে। ২৬ মার্চ মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করা হবে। এই দফার ভোটে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ২৮ মার্চ।
দ্বিতীয় দফা ভোটে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শুরু ১৯ মার্চ থেকে। ১৩টি রাজ্যের ৯৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে ১৮ এপ্রিল। তৃতীয় দফা ভোটে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শুরু ৪ এপ্রিল থেকে। তৃতীয় দফায় ১৪টি রাজ্যের ১১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ ২৩ এপ্রিল। চতুর্থ দফা ভোটে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শুরু ২ এপ্রিল থেকে। ৯টি রাজ্যের ৭১টি আসনে ভোট গ্রহণ ২৯ এপ্রিল।
পঞ্চম দফা ভোটে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শুরু ১০ এপ্রিল থেকে। ৭টি রাজ্যের ৫১টি আসনে ভোট গ্রহণ ৬ মে। ষষ্ঠ দফায় ভোটে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শুরু ১৬ এপ্রিল। ৭টি রাজ্যের ৫৯টি আসনে ভোট গ্রহণ ১২ মে। সপ্তম দফায় ভোটে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শুরু ২২ এপ্রিল। ৮টি রাজ্যের ৫৯টি আসনে ভোট গ্রহণ ১৯ মে।
গণতন্ত্রের উৎসব নির্বাচন৷ এবার গোটা দেশে মোট সাত দফায় ভোট হবে৷ উত্তরপ্রদেশ , বিহার ছাড়া এরাজ্যেও সাত দফায় হবে ভোট। দ্বিতীয় দফায় ১৮ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্র জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও রায়গঞ্জে ভোটগ্রহণ হবে।
ওই তিনটি কেন্দ্রের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৯ মার্চ, মঙ্গলবার থেকে। তৃতীয় দফায় ২৩ এপ্রিল ভোট হবে বালুরঘাট, মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর, মুর্শিাদাবাদ কেন্দ্রে। ওই পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২৮ মার্চ থেকে।
ভোট শান্তিপূর্ণ ও আবাধ করতে তৎপর কমিশন৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে ১০ কোম্পানি আদা সেনা৷ পরে আসবে আরও ২৫ কোম্পানি৷ আধা সেনার উপস্থিতি ঘিরো শাসক-বিরোদী তরজা অব্যাহত৷ তবে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বাহিনীর রুটমার্চ৷