বোলপুরে রোড শো-এর পর সাংবাদিক বৈঠক ছিল অমিত শাহের। তা শেষ করেই অন্ডাল বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছে বাংলার নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ পৌনে দু’ঘণ্টা বৈঠক করেন শাহ।
বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকরা অপেক্ষা করছিলেন। দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে কী নির্দেশ দিয়ে গেলেন শাহ! লাউঞ্জ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বেরোতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। বিধানসভা ভোট নিয়ে কোনও রণকৌশল বলে গেলেন?
দিলীপবাবু জানালেন, সভাপতি জেপি নাড্ডার সফর ও অমিত শাহের সফর হয়েছে। ১৫ মিনিটের ছোট্ট পর্যালোচনা হয়। উনি বলে দিয়ে গেলেন কী কী করতে হবে। আর বাকি দেড় ঘণ্টা ছিল গল্প।
দিলীপ ঘোষ জানালেন, “দর্শন, ইতিহাস, রামায়ণ, মহাভারত, গীতা, বেদ, উপনিষদ, বিভিন্ন রাজ্য সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা– ওঁর সব বিষয়ে এত গভীর জ্ঞান, সেসব নিয়েই দেড় ঘণ্টা গল্প হল। যখনই সুযোগ হয় আমরা বসে শুনি।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত কী উপদেশ দিলেন? হাসতে হাসতে দিলীপ ঘোষের জবাব, “সেটা সরকারে এসে বলব!”
পুজোর আগেই বাংলার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ। জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুজো মেটার পরেই মাসে একবার করে তিনি বাংলা সফর করবেন। সেই মতো নভেম্বর ও ডিসেম্বরের সফর সেরে ফেললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।