পশ্চিম বর্ধমানে আমলা ও পুলিশ মহলে বদলের একটা আভাস ইঙ্গিত গত কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। শেষমেশ হলও তাই। শুক্রবার দুপুরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরিয়ে দেওয়া হল পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক বিভু গোয়েল ও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অজয় কুমার ঠাকুরকে।
হঠাৎ এই দুই কর্তাকে বদলি নিয়ে আমলা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। নবান্নের একটি সূত্রের দাবি, এর পিছনে রয়েছে বালি খাদান ও কয়লা খাদানের বাড়বাড়ন্ত। যা রুখতে না পারার কারণেই সরতে হল বিভু গোয়েল ও অজয় ঠাকুরকে।
তৃতীয়বারে সরকারে এসে বেআইনি বালিখাদান ও পাথর খাদান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার সতর্ক করেছেন জেলা শাসকদের। তিনি এও বলেছিলেন যতই ভাল অফিসার হোক না কেন, যদি বেআইনি বালিখাদানে কেউ যুক্ত থাকেন, তাঁকে ছাড়া হবে না। কিন্তু তারপরও বালিখাদান নিয়ে বার বার অভিযোগ এসেছে নবান্নে।
বালিখাদান নিলামের বিষয়ে জেলাশাসকদের যে কোনও ভূমিকা থাকবে না তাও পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলা হয়েছিল, খাদান স্বচ্ছতার সঙ্গে নিলাম হবে। তা ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের মাধ্যমে হবে, তাতে জেলা শাসকের কোনও ভূমিকা থাকবে না। কিন্তু সূত্রের খবর, তারপরও পশ্চিম-বর্ধমান জেলা থেকে বালিখাদান নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ পায় দুর্নীতি দমন শাখা।
সূত্রের আরও খবর, বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পৌঁছয় দুর্নীতি দমন শাখার একটি বিশেষ টিম। তারা বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে বলে খবর। আর তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে সরতে হল ওই জেলার জেলাশাসক বিভু গোয়েল ও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অজয় কুমার ঠাকুরকে। পশ্চিম বর্ধমানের নতুন জেলা শাসক করা হয়েছে আইএএস এস.অরুণ প্রসাদ এবং আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের নতুন কমিশনার করা হয়েছে সুধীর কুমার নীলকান্তমকে।