মহিলাদের সুবিধার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আগামী মাস থেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে বলে জানা গেছে। আর এই প্রকল্প নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব গেরুয়া শিবির। এদিন কিষাণ মোর্চার সভায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মাত্র ৫০০ টাকার জন্য ঘরের লক্ষ্মীদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর থেকেই বোঝা যায় রাজ্যের অর্থনীতি কোথায় দাঁড়িয়ে আছে।
দিলীপ বলেছেন, বাড়ির লক্ষ্মীদের ভোর চারটে থেকে বিকেল চারটে অবধি লাইন দিতে হচ্ছে শুধুমাত্র ৫০০ টাকার জন্য। রোদ-বৃষ্টিতে ছেলেমেয়েদের কোলে নিয়ে মহিলারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিচ্ছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কতটা অবনতি হয়েছে।
গত ১৬ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প, যা চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর এই ক্যাম্পগুলি থেকেই পাওয়া যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। তবে তা শর্তসাপেক্ষ। প্রকল্পের সুবিধা হিসেবে তফশিলি জাতি-উপজাতির মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা এবং জেনারেল তালিকাভুক্ত মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেবে সরকার। এই আবেদনপত্র পাওয়ার জন্য এখন থেকেই লাইন দিচ্ছেন মহিলারা। আর সে নিয়েই তুমুল সমালোচনা চলছে বিরোধী শিবিরে।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেছেন, দু’দিন জোগাড়ের কাজ করলেই দিনে ২৫০ টাকা করে ৫০০ টাকা পাওয়া যায়। আর শুধু এই ৫০০ টাকার জন্যই বাড়ির মেয়েদের রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে। দিলীপের বক্তব্য, টাকা দিতে হলে শুধু ৫০০ টাকা কেন, অন্তত হাজার টাকা করে দিক সরকার। অসমের সরকার মহিলাদের তিন হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদী তাঁর বিভিন্ন প্রকল্পে সাধারণ নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা দিচ্ছেন। আবাস যোজনার জন্য টাকা দিচ্ছেন, কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিচ্ছেন তার জন্য কোনও হুড়োহুড়ি করতে হচ্ছে না। দিলীপের প্রশ্ন, সবার জন্য ধন অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানে টাকা দেওয়া হচ্ছে না কেন। সাধারণ মানুষকে কষ্ট করে রোদে-বৃষ্টিতে লাইনে দাঁড়াতেই বা হবে কেন?
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মা-বোনেদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প করেছে সরকার, দিলীপ ঘোষ তাঁদেরই আক্রমণ করছেন।