এপ্রিলের ২ তারিখ থেকে প্রচারে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক পরের দিনই রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। ৩ এপ্রিল ব্রিগেড থেকেই পশ্চিমবঙ্গে প্রচার শুরু করতে চান মোদী। তবে শুধু ব্রিগেডই নয়, সাত দফার ভোটে রাজ্যে অন্তত ১০ দিন সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই খবর রাজ্য বিজেপি সূত্রে।
জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে এই ১০ দিনের প্রচার নিয়ে একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে সেটা করতে হবে, যাতে একটি সভা থেকে একসঙ্গে দু-তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য রাখা যায়। আরও জানা গিয়েছে, এই ১০দিনের প্রচারে কোনও দিন একটি, আবার কোনও দিন একাধিক সভাও করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। যেমন ৩ এপ্রিল ব্রিগেড ছাড়াও উত্তরবঙ্গে সভা করবেন মোদী।
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রথমে উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতে সভা করার কথা ছিল মোদীর। কিন্তু পরে তা কোচবিহারে করার কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ, ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহারে ভোট রয়েছে। তাছাড়া তৃণমূল খেদানো নিশীথ প্রামাণিককে কোচবিহার থেকে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা করার পর জেলা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একটা অংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী সেখানে সভা করলে এই বিক্ষোভ অনেকটাই কমানো যাবে, এমনটাই মনে করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।
বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সূত্রে খবর, বাংলায় এ বার কৌশলগত ভাবেই চলছে বিজেপি। সব আসনে দল প্রার্থী দিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তার মধ্যে কিছু আসনকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে বেছে এমন ২৭ টি আসনে বেশি নজর দেওয়া হবে সংগঠনের তরফে। নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো কেন্দ্রীয় নেতাদের এনে সেখানে ঘন ঘন প্রচার, জনসভা ও রোড শো-র ব্যবস্থা করা হবে। তা ছাড়া বলিউডের কয়েকজন তারকাকে এনে প্রচারের কৌশলও নিতে পারে দল।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভা করেছিল তৃণমূল। বিজেপি জানিয়েছিল, তার পর পরই সেখানে পাল্টা সভা করবে তারা। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে সেই প্রস্তুতি নেওয়া যায় নি। তা ছাড়া সংসদের অধিবেশন থাকায় অসুবিধা হয়েছিল। মোদীর সেই বকেয়া সভা ৩ এপ্রিল ব্রিগেডে হবে। আপাতত কোথায় কোথায় কবে সভা করা যায়, কীভাবে ১০ দিনের সভায় প্রায় সব লোকসভা কেন্দ্রকেই ধরে ফেলা যায়, তার রূপরেখা তৈরিতেই ব্যস্ত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলকে টক্কর দিতে কোমর বাঁধছেন বিজেপি নেতারা।