নৈহাটিতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ তারপরই তৎপর হয় পুলিশ৷ তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর বাজি৷ গত তিনদিন ধরে সেই সব বাজি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি৷ এই ঘটনায় পুলিশকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তারা৷
প্রাক্তন পুলিশকর্তা অনিল জানা জানান, নৈহাটিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণ৷ এখানে কোনও কিছু ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে৷ তদন্ত হওয়া উচিত৷ তাছাড়া বাজি নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে একটা তো অসর্তকতা ছিলই৷ পুলিশের গাফিলতিও ছিল৷ যে বাজিগুলি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল,তা বাজি নয়৷ এমনকি সাধারণ বোমাও নয়৷ সাধারণ বোমা বিস্ফোরণ হলে এমনটা হত না৷ নৈহাটিতে বিস্ফোরণ হল আর গঙ্গার ওপারে বাড়ির কাচ ভাঙ্গল৷
অভিযোগ, নৈহাটিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানেনি পুলিশ। নিয়ম না মেনে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ করতে গিয়েই বিপত্তি বেঁধেছে।
নৈহাটি বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রাক্তন পুলিশকর্তারা জানালেন, এই ধরনের বোমা বা বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। আগে থেকে জেলাশাসকের থেকে অনুমতি নিতে হয়। তারপর জায়গা নির্বাচন করতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী জনবসতি নেই, এমন জায়গাই নিষ্ক্রিয়করণের জন্য বেছে নেওয়া হয়৷
প্রসঙ্গত, নৈহাটির দেবক-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে গত কয়েকদিন ধরেই বিপুল প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি ও বারুদ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ৷ সেই বাজি ও বারুদ নিষ্ক্রিয় করতে গঙ্গার পাড়ে নৈহাটির রামঘাটে নিয়ে যায় পুলিশ৷ বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়েই ঘটে যায় বিপত্তি৷ বিস্ফোরণের প্রবল শব্দ কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা৷ এমনকি বিস্ফোরণের জেরে গঙ্গার ওপারেও চুঁচুড়ায় বহু বাড়ির কাচ ভেঙে যায়৷ এভাবে বাজি নিষ্ক্রিয় করার পদ্ধতিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী৷ পুলিশের বিরুদ্ধে পথে নেমে শুরু হয় বিক্ষোভ৷ নৈহাটিতে পুলিশের দুটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা৷ ভাঙচুর চালিয়ে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷