১৫ই আগস্ট ১৯৪৭-এ স্বাধীনতা পায়নি মুর্শিদাবাদ

১৯৪৭ সালের ১৫ ই অগস্ট যখন ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করছে তখন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমা পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু মুর্শিদাবাদের কিছু বিশিষ্ট মানুষ যেমন নবাব কাজেম আলী মির্জা, তৎকালীন লালগোলা রাজা ধীরেন্দ্র নারায়ন রায় ও তার পুত্র বিরেন রায়, নশিপুর এর তৎকালীন রাজা ও বেশকিছু বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী র তৎপরতায় পরে মুর্শিদাবাদকে ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সেই সময় খুলনা জেলাকে ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত করে মুর্শিদাবাদকে পূর্ব পাকিস্তানে যোগ করা হয়েছিল। কিন্তু একটি দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে যে তা খুব অসুবিধের হত, সেই বিষয়গুলির উপরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এই বিষয় টিকে সামনে রেখে লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে যে ব্যক্তির লেখা উপস্থাপনা করা হয় তাঁর নাম শ্রী বিনয় কুমার মিত্র।

স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনয় কুমার মিত্রের লেখা লিপিবদ্ধ করার জন্য নবাব কাজেম আলী মির্জা অনুরোধ করেন।

সেই সময় শ্রী বিনয় কুমার মিত্র ন্যাশনাল কংগ্রেস এর মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি ও ন্যাশনাল কংগ্রেস এর ট্রাস্টি বোর্ড এর মেম্বার ছিলেন। শ্রী বিনয় কুমার মিত্র লালগোলার বাসিন্দা ছিলেন। ১৮ ই অগস্ট সকাল ৯টায়, লালগোলার এম.এন.একাডেমীর মাঠে অবস্থিত বট গাছের কাছে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনয় কুমার মিত্র। সেই সময় জাতীয় সঙ্গীত গান এশিয়া তথা লালগোলার বিশিষ্ট গণসংগীত শিল্পী অজিত পাণ্ডে মহাশয়।

১৫ অগষ্ট স্বাধীনতা দিবস হলেও মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাধীনতা লাভ করে ১৮ ই অগস্ট ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.