তৃণমূলের লোকজন তাঁর ছেলের প্রাণহানি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুকুল রায়। এবং তা তিনি জানিয়েছেন ছেলে শুভ্রাংশুকেও। পরামর্শ দিয়েছেন সাবধানে থাকতে।
বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু। শুক্রবার দল-বিরোধী কাজের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভ্রাংশু তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে? জবাবে মুকুল-পুত্র বলেন, “হ্যাঁ কথা হয়েছে। বাবা বলেছেন সাবধানে থেকো। বুঝতেই পারছ তুমি যে দলটা করছ, যে কোনও মূল্যে তোমাকে মারতে পারে, হেনস্থা করতে পারে এবং প্রাণহানি ঘটাতে পারে। তাই সাবধানে থেকো।”
কিন্তু শুভ্রাংশু রায় ও কি এই আশঙ্কা করছেন? বীজপুরের বিধায়কের তুরন্ত জবাব, “আমি এখন এ সব নিয়ে ভাবছি না। আমি শুধু মুক্ত আকাশে নিঃশ্বাস নিচ্ছি।” তাঁর কথায়, “এখন আর কেউ আমায় গদ্দার বলতে পারবে না। গদ্দারের ছেলে বলতে পারবে না।”
ভোটের আগে কাঁচড়াপারার বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেছিলেন, দীনেশ ত্রিবেদীকে বীজপুর থেকে সবচেয়ে বেশি ভোটে লিড দেবে। কিন্তু তা হয়নি। ভোটের ফল ঘোষণার পইর দিন তাই ফের বাড়িতেই সাংবাদিক বৈঠকে ডেকে হাপুন (শুভ্রাংশুর ডাক নাম) বলেন, “বাবার কাছে হেরে গেছি। আমি ভুলে গিয়েছিলাম, বীজপুর শুধু আমার নয়। আমার বাবা মুকুল রায়ও এখানকার ভূমিপুত্র। বীজপুরের মানুষ বাবার পাশেই দাঁড়িয়েছে।” আরও একধাপ এগিয়ে মুকুল-পুত্র বলেন, “আমার বাবা একার হাতে তৃণমূল দলটাকে তৈরি করেছিলেন। সেই লোকটাই একার হাতে গোটা তৃণমূলটাকে তছনছ করে দিল।”