পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। বিরোধীদের এই দাবি নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রথম থেকেই। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বিজেপি কর্মীদের পুলিশ হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি তুললেন মুকুল রায়। তাঁর দাবি, বিভিন্ন থানার ওসিদের সেই হুমকির ভিডিও তিনি নির্বাচন কমিশনে জমা দেবেন।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুকুল রায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কোনও আইন নেই। বিশেষ
পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক বলেছেন ১০-১৫ বছর আগের বিহারের মতো পরিস্থিতি বাংলায়। সেটাই ঠিক।”
বীরভূমের পুলিশ সুপার অর্ণব দত্তকে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, “অনেক দেরিতে হলেও বীরভূমের পুলিশ সুপার সরিয়ে দেওয়ায় আমরা খুশি। তেব অনেক অ্যাডিশনাল এসপি, এসডিপিও প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতাতে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে রাস্তায় নেমে কাজ করছে। এমন কী অনেক ওসি বিজেপি কর্মীদের ডেকে ডেকে থ্রেট করছে। আমার কাছে সব খবর আছে। কোন ওসি কাকে কখন ডেকেছে সব প্রমাণ আছে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা ভিডিও ক্লিপ দিতে পারব।”
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, “কোনও সভাতেই আর লোক হচ্ছে না। তাই লোক না হলেই হাঁটতে শুরু করছেন। কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর সব জায়গাতেই একই কারণে পদযাত্রা।”
এই রাজ্যে প্রচারে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে এমন ফল হবে যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার থাকবে না রাজ্যে। এর পরে অনেক বিজেপি নেতাই সেকথা বারবার বলেছেন। এদিন মুকুল রায় বলেন, “২৩ মে-র পরে রাজ্য বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আসবে। তাতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার আর টিকবে না।”