শিলিগুড়ির পর ব্রিগেডের জনসমাবেশ দেখে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন ব্রিগেডে এত ভিড় কেউ আগে কখনো দেখেনি। মানুষের উদ্দেশ্যে বললেন তাদের ভালোবাসা তিনি সুদ সহ উন্নয়নের মাধ্যমে ফেরত দেবেন। তিনি আরও বলেন ২৩ মে’র ফলাফল কি হতে চলেছে তার আজকের ব্রিগেড দেখেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আন্দাজ করতে পারবেন। বহু বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও ব্রিগেডের এই সমাবেশ উদাহরণ হয়ে থাকবে।

মোদী বলেন নতুন ভারত গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে মানুষের যে সমর্থন ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন তাতে তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি দাবি করেন গত পাঁচ বছরে ভারত যা করছে তা করার শুধুমাত্র স্বপ্ন দেখত দেশবাসী। যা আজ বাস্তবায়ন করা গেছে। সর্বত্র ভারতের জয়জয়কার এখন। সারা বিশ্ব স্বীকার করেছে ভারত সব ক্ষেত্রে এগিয়েছে গত পাঁচ বছরে।

সার্জিকাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইকের কিংবা মহাকাশে স্ট্রাইক সবক্ষেত্রেই ভারত উন্নতির শিখরে। কিন্তু মোদী অভিযোগ করে বলেন, ভারতের এই সাফল্যে খুশি বা গর্বিত নন বিরোধীরা। তাইতো এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চান তারা সেনার কাছে, মহাকাশে এস্যাটের সফল উৎক্ষেপণকে নাটক বলে পরিহাস করেন দেশের বিজ্ঞানীদের। মোদী বলেন গত পাঁচ বছরে দেশের সেনা কিংবা বিজ্ঞানীরা যা করে দেখিয়েছেন তার যে করার ক্ষমতা তাদের আগে ছিলনা সেটা একেবারেই নয়। মোদীর কথায় পূর্বতন সরকারের স্বদিচ্ছা ও ক্ষমতার অভাবে এই কাজ আগে করা যায় নি।

কংগ্রেস তাদের ইশতেহারে আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে মোদী বলেন এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ ভারতীয় সেনার কাছ থেকে তাদের সুরক্ষা কবচ কেড়ে নেওয়া। তাদের ক্ষমতা খর্ব করা।
কংগ্রেসের ইশতেহার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোদী বলেন এই ইশতেহার প্রকাশের আগেই তার এক্সপায়ারি ডেট নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। কংগ্রেসের এই ইশতেহারের এক্সপায়রি ডেট ২৩মে। একই সঙ্গে ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে
ফের তিনি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন দেশে এই পরিবার তন্ত্রের অবসান হবে।

ব্রিগেডে আসা বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন তিনি বিজেপি সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে এসেছেন। এরপর তিনি তার সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান একের পর এক তুলে ধরেন মানুষের সামনে।

বিজেপি বিরোধি মহাজোটকে তোপ দেগে মোদী বলেন, কলকাতায় এই ব্রিগেড গ্রাউন্ডেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসে নেতা নেত্রীরা একটাই কথা বলেছেন মোদী হটাও। কিন্তু কেন মোদী হটবে তার ব্যাখা নেই বিরোধীদের কাছে। তিনি বলেন, তিনি গরীবদের উন্নয়নে একের পর এক কাজ করেছেন। গরীব মানুষের ঘর তৈরি, শৌচাগার তৈরি, রান্নার গ্যাস দেওয়া, বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া, বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিসেবা দেওয়ার মত উন্নয়নের কাজের খতিয়ান তিনি দেন।

মোদী বলেন, যা কোনো দিন সম্ভব ছিল না তাই করে দেখিয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরায় বাম সরকার উৎখাত করে সেখানে পদ্ম সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আর বিজেপি ক্ষমতায় এসেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সপ্তম পে কমিশন লাগু করেছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার আজও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের সঠিক বেতন দেয়না।

মোদী বলেন ২০১৪ মানুষের সমর্থন ক্ষমতায় এসে একটি মজবুত সরকারের ভিত তারা স্থাপন করেছেন। আর ২০১৯এ মানুষের সমর্থনে ক্ষমতায় ফিরে নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.