‘কৃত্রিম বিতর্ক’ – বঙ্গীয় সেক্যুলার রাজনীতিক ও স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী #IndiaSupportsCAA

ভারতবর্ষ শঙ্করাচার্য, চৈতন্যের দেশ অর্থাৎ বিতর্ক ও যুক্তির মাধ্যমে নিজেদের মত প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের অমর্ত্য সেনের “আর্গুমেন্টেটিভ ইন্ডিয়ান” পড়ার দরকার হয় না। গণতন্ত্রে সংসদীয় আইনের প্রতিবাদে বিতর্ক, আন্দোলন, সভা হতে পারে যদি না তা ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’ ও ‘ আফজল হম সর্মিন্দা হ্যায়। তেরে কাতিল জিন্দা হ্যায়’ এই পর্যায়ে পৌঁছায় বা বিরোধীদের কন্ঠে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ধ্বনিত হয় বা ঘরোয়া সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যাওয়ার কথা দেশের শত্রুদের সুবিধা করে দেয়।

তর্ক, বিতর্ক, যুক্তি বা অপযুক্তি এ সব শব্দ বাংলায় বহুল প্রচলিত। অপযুক্তি বলতে বোঝায় যে বিতর্কের বিষয়টি প্রাসঙ্গিক। কিন্তু যুক্তির মধ্যে সারবস্তু নেই। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রেক্ষিতে যখন স্বাভাবিক ভাবে তর্কের কোনও অবকাশই নেই তখন এই বাংলা জুড়ে পরিকল্পিত ভাবে সৃষ্ট বিতর্ক ও উন্মাদনার ঘনঘটা দেখে মনে হচ্ছে ‘কৃত্রিম বিতর্ক’-র মতো অভিনব শব্দ অভিধানে যুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিতর্কের কোনও বিষয় বা কারণ নেই। ‘কৃত্রিম বিতর্কে’র নমুনা দেখুন –

সি এ এ ও এন আর সি মুদ্রার এপিঠ – ওপিঠ। এ দুটোই বাঙালি বিরোধী। বই মেলায় এ নিয়ে নাকি জমজমাট আলোচনা হবে। এদের যুক্তি হলো, যেহেতু এই আইনে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ বাংলাভাষী মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি তাই এই আইন বাঙালি বিরোধী। অর্থাৎ বাংলাভাষী মানুষ কম্যুনিস্ট বা সেকুলার হলেও তিনি বাঙালি। বাংলাভাষী মুসলমান হলেও সংখ্যালঘু বাঙালির মর্যাদা পাবেন। একমাত্র তিনি হিন্দু হলেই ব্রাত্য। না হলে যে আইন সংশোধনের ফলে সব থেকে বেশি লাভবান হবেন ১৯৭১ – এর পর বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের ফলে ভারতে আসা লক্ষ লক্ষ বাঙালি হিন্দু শরণার্থী, সেই সি এ এ কোন যুক্তিতে বাঙালি বিরোধী হয়। আসলে সরাসরি তো বলা যাচ্ছে না যে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিতে হবে তাই ঘুরিয়ে এই আইন কে বাঙালি বিরোধী বলা হচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, মায়ানমারের রোহিঙ্গা, প্যালেস্টাইন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে মুসলমান; শ্রীলংকা থেকে তামিলরাও যদি বিতাড়িত হয়ে আসে তবে তাদের নাগরিকত্ব সম্পর্কে কিছু বলা নেই কেন। বিশ্বজুড়ে কবে, কোথায়, কারা কাদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে আসবে তার জন্য আগের থেকে কোনও দেশ আইন করে রাখে কিনা আমার জানা নেই। হিন্দু সমাজ যখন ইহুদি ও পার্সিদের আশ্রয় দিয়েছিল তখন তো রাষ্ট্রসংঘ, জেনেভা কনভেনশন, উরুগুয়ে প্রটোকল, মানবাধিকার, সংসদ বা সুপ্রিম কোর্ট এ সব ছিল না। ভারতের প্রথম মসজিদ ও গির্জা হিন্দু রাজার অনুমতিতেই স্থাপিত হয়েছিল। সহিষ্ণুতা হিন্দু সমাজের মজ্জাগত। কাজেই ভারতে যতদিন হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে ততদিন নিপীড়িতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য এখনকার বামপন্থী, সেকুলারদের থেকে মানবতা ও উদারতার পাঠ নিতে হবে না। ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতি আসলে সেই সময়ের সরকার ভারতীয় পরম্পরা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সচেতন থাকতে হবে যাতে এই নিষ্পাপ সহিষ্ণুতার কারণে আমাদের নিজেদেরকেই না ভবিষ্যতে বিতাড়িত হতে হয় অথবা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মতো নিজ ভূমে পরবাসী হতে হয়। বিশ্বজুড়ে মুসলমান, খ্রিস্টানদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনেক দেশ আছে কিন্তু হিন্দুর জন্য এই ভারতই একমাত্র সম্বল। অন্তত অন্যকে আশ্রয় দিতে গেলে যে নিজেদের আশ্রয় থাকা প্রয়োজন সেটা বোঝার জন্য হারবার্ড, কেমব্রিজ, জে এন ইউ, যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সি – র পন্ডিত হতে হয় না। কিন্তু বঙ্গীয় প্রগতিশীল পণ্ডিতদের অবস্থা মনে হয় সেই সাঁতার না জানা পন্ডিতের মতো।

আরও একটি অশুভ প্রবণতা সমাজে দেখা দিয়েছে সেটা হল বৌদ্ধিক আঁতলামো। একদিকে ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে চূড়ান্ত স্বার্থপরতা। সন্তানের মন ‘ ইঁদুর দৌড়ের ‘ নামে বিষিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধুকে নোটস, সাজেশনস না দেওয়ার কুশিক্ষা তাকে দেওয়া হয় কেন না তাকে প্রথম হতে হবে। ছোট ছোট বৈষয়িক স্বার্থের কারণে যৌথ পরিবার ভেঙ্গে চুরমার। অতিথি এক দিনের বেশি দুই দিন থাকলে তাকেই অনুপ্রবেশকারী মনে হয়। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে সংকীর্ণ মনের এই মানুষই ( যাদের অধিকাংশই হয় নিজে অথবা তাদের পূর্বপুরুষ ওপার বাংলা থেকে নির্যাতিত হয়ে এবার বাংলায় এসেছেন) সর্বজনীন জীবনে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে মুসলমানরা আসলে তাদের নাগরিকত্বের কি হবে সেই নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করছেন। তাদের এই সব বড় বড় উদারতার কথা শুনে স্বয়ং গৌতম বুদ্ধও হয়তো লজ্জা পাচ্ছেন যে উনিও এত মহান ছিলেন না।

তৃতীয় কৃত্রিম তর্ক – ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব সংবিধানসম্মত নয়। সংশোধনীতে মুসলমানদের রাখা হয়নি ফলে ধর্মনিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন হয়েছে এবং সংবিধানের ধারা (১৪),(১৫) সব রসাতলে গিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। বাস্তবে মূল নাগরিকত্ব আইন অপরিবর্তিত আছে। দু- একটি ধারা যুক্ত হয়েছে মাত্র। নাগরিকত্ব সম্পর্কিত আইনি ব্যবস্থা হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে আগে যা ছিল এখনও তাই আছে। অর্থাৎ মূল আইন পাল্টে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের নতুন সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি, বরং ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে বিতাড়িতদের শরণার্থী হিসেবে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে (এর মধ্যে ক্রিশ্চানও আছেন )।

সব সময় বলা হয় এপার বাংলা – ওপার বাংলা। তাদের এইসব কৃত্রিম বিতর্ক ও কথা শুনে আমার মনে হল অগ্নিযুগ ও বিপ্লবের কেন্দ্র এই বাংলায় ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ওপার বাংলা নিয়ে বহু আগে থেকেই অনেক সঙ্গত ও যথার্থ বিতর্ক, সভা ও আলোচনা শুরু হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। যেমন – ১) ভারতের সংবিধান প্রকৃত ধর্ম নিরপেক্ষ হলে “এক দেশ এক আইন” এবং “এক দেশ এক শিক্ষা ব্যবস্থা” নেই কেন। গান্ধীজী স্বয়ং বলেছেন –

“আমি একথা বিশ্বাস করি না যে রাষ্ট্র ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে মাথা ঘামাতে পারে অথবা এর দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারে। আমার মতে ধর্মীয় শিক্ষা একমাত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্তব্য হওয়া উচিত।……………….ধর্ম বলতে আমি এখানে মূল নীতিশাস্ত্রের প্রতি ইঙ্গিত করছি না, সাম্প্রদায়িক ধর্মের নামে যা চলছে তার কথাই এখানে বলছি। (“হরিজন, ২৩-৩-১৯৪৭)

” সরকার ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করবেন – আমি এতে রাজি নই।……. … আর প্রত্যুত আমাদের রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ।”
(হরিজন, ৯-১১-১৯৪৭)

ভারত যদি প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হয় তবে সেখানে সরকারি ব্যয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় রম রম করে মাদ্রাসা শিক্ষা চলে কী করে? সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষার মাধ্যমে গান্ধীজীর ভাষায় ‘ সাম্প্রদায়িক ধর্মের ‘ শিক্ষা যে ভবিষ্যত সাম্প্রদায়িক নাগরিক তৈরি করছে সে নিয়ে সুধীজনদের কোনও বিতর্ক সভা হয়না কেন ?

ভারতীয় সেনা তাদের বুকের রক্ত দিয়ে, দেশের অনেক অৰ্থ ব্যয়ে ওপার বাংলা স্বাধীন করে দেওয়ার পরেও সেখানকার রাষ্ট ধর্ম ইসলাম কেন? বাঙালি হিন্দুরা কেন সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে থাকবে? আমাদের দেশে নাকি সহিষ্ণুতা বিপন্ন তাই পুরস্কার বর্জনের ধুম – ১,২,৩ সিরিজ চলেছিল। কিন্তু এই সঙ্গত ক্ষোভের কারণে এপার বাংলার সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার, নাট্যকার, অভিনেতা বা যে কোনও ক্ষেত্রে বিশিষ্ট বাঙালি ব্যক্তিত্ব ওপার বাংলাকে বর্জন করেছেন বলে জানা নেই।

ওপার বাংলায় কেন ১৯৭৪ পর্যন্ত “শত্রু সম্পত্তি আইন” বহাল ছিল। ১৯৭৪ থেকে “শত্রু সম্পত্তি আইন”- এর নাম পাল্টে একই উদ্দেশ্যে তৈরি “খাস সম্পত্তি আইন” (ভেস্টেড প্রপারটি অ্যাক্ট) কেন ২০০১ পর্যন্ত বহাল থাকল? বি এন পি বা আওয়ামী লীগ যে দলই ক্ষমতায় থাক আসলে তো ওপার বাংলার অধিকাংশ বাংলাভাষী মুসলমানরাই বাঙালি হিন্দু বিরোধী এই আইন মেনে নিয়েছে।

২০০১-এ “খাস সম্পত্তি পুনর্বহাল” (রেস্টরেশন অফ ভেস্টেড প্রপারটি অ্যাক্ট) নামক যে লোক দেখানো আইন তৈরি হয় সেই আইন অনুযায়ী শুধু ১৯৬৯- এর আগে ঘোষিত শত্রু সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কেন?১৯৬৯- এর পর কি বাংলাদেশ হিন্দু সম্পত্তি দখল করা হয়নি ?

সেই আইনে এমন জটিল শর্ত রাখা হয়েছে কেন যা পূরণ করে কোনও হিন্দুর পক্ষেই সম্পত্তির পুনর্দখল সম্ভব নয় ?

ওই লোক দেখানো আইন অনুযায়ী কতজন হিন্দু শরণার্থী ওপার বাংলায় গিয়ে নথিপত্র জমা দিয়ে তাদের সম্পত্তি ফেরত পেয়েছেন? আজ প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এদেশের মুসলমানরা কি করে নাগরিকত্ব পাবে। বহু পুরনো নথিপত্র বন্যা, আগুনে নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে সে সময় প্রশ্ন তোলা হয়নি কেন যারা রাতারাতি প্রাণ ভয়ে, মা-বোনের সম্মান বাঁচাতে ওপার বাংলা থেকে এসেছে, যাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে বা ভেঙ্গে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে তারা নথিপত্র কি করে পাবে ? জটিল শর্ত কী ভাবে পূরণ করবে ? এ নিয়ে কোনও আলোচনা এপার বাংলায় হয়েছে কি?

আজ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নজরদারির কথা বলা হচ্ছে। তাহলে হিন্দুদের সম্পত্তি ফেরত দেওয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের পর্যবেক্ষণে হোক বা ওপার বাংলা- এপার বাংলার সুধীজনদের নিয়ে গঠিত একটা যৌথ সমিতির পর্যবেক্ষণে হিন্দুদের সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হোক, এই দাবি নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্দেশ্যে কোনও প্রতিবাদ মিছিল বঙ্গীয় প্রগতিশীল রাজনীতিক ও স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীরা করেছেন কি? বই মেলায় এসব নিয়ে জমজমাট বিতর্ক হয়নি কেন?

এদের এই কৃত্রিম বিতর্ক দেখে আমারও একটি কৃত্রিম বিতর্ক মনে এসেছে। পাঠকরা আশাকরি পড়ার পর ক্ষমা করবেন। গণতন্ত্রে চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না।ধরুন আজ যারা বিরোধী তারা ক্ষমতায় এলেন। বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিলেন ফলে এই বাংলায় বৈধ মুসলমান জনসংখ্যা প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি বেড়ে গেল এবং বংশবিস্তার করে তারা যথারীতি এপার বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেল। তারপর তারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা কাশ্মীরের মতো বলপূর্বক হিন্দু বিতারণ শুরু করলো। এখন সেই বিতাড়িত হিন্দু বাঙালি আশ্রয়ের জন্য অন্যান্য রাজ্যে গেল। নাগরিকত্ব বিলের স্বপক্ষে যারা লোকসভা, রাজ্যসভায় ভোট দিয়েছেন তারা অধিকাংশই অবাঙালি। তাদেরকে যারা সাংসদ করে পাঠিয়েছেন তারাও অবাঙালি। নাগরিকত্ব আইন বাঙালি বিরোধী বলা মানে তাদেরকেও বাঙালি বিরোধী বলে অসম্মান করা। এখন যদি তারা বলে, ভাই ! আমরা তো বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের

স্বার্থেই ‘নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন’ সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু তোমরাই আমাদের বাঙালি বিরোধী বলেছ। তাই এখন আমাদের রাজ্যে তোমরা কেন থাকতে এসেছো ? আমরা তো বাঙালি বিরোধী। তোমরা ওপার বাংলা থেকে মুসলমানদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে এপার বাংলায় এসেছিলে এখন আবার এপার বাংলা থেকে মুসলমানদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে ওপার বাংলায় যাও। হাজার হোক তারাও তো বাঙালি, তোমাদের নিশ্চয়ই আশ্রয় দেবে। বিতর্কের শেষে এসে মনে হয় সেটি আর কৃত্রিম থাকলো না। পাঠকরা কি বলেন ?

সুব্রত ভৌমিক

(লেখক দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্ট এর অ্যাসোসিয়েট সদস্য)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.