গত বছর শুভেন্দু অধিকারীর সাথে সাথে রাজ্যের বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee) নিয়েও চরম জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। গত ডিসেম্বর মাসে একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এই জল্পনার সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যারা যোগ্যতার সাথে কাজ করছেন, তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে AC ঘরে বসে রাজনীতি করা মানুষেরাই আজ সামনের সারিতে উঠে এসেছেন।” তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন ভালো কাজ করতে যায়, তখন তাকে পিছন থেকে টেনে ধরা হয়। অনেকেই এখানে আছেন, যারা শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করছেন।”
এরপর তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে দুবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিটিংও হয়েছিল। একবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের মহাসচিবের বাড়িতে গিয়েও বৈঠক করেন। তবে সেই মিটিংয়ে ফল কি হয়েছিল, সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে সেদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, দল ডেকেছে বলেই এসেছি। কথাবার্তা তেমন কিছু জানানোর মতো হয়নি।
বছর ঘুরতেই আবারও সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে শুরু হল জল্পনা। রবিবার হাওড়ার ডোমজুড়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তৃণমূলের একাংশের নেতাদের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূলের কর্মীদের শুধুমাত্র নিজেদের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তৃণমূলের কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক নেতারা অহংকার দেখাচ্ছেন। আজ হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম, আগামী দিনে এই তৃণমূল কর্মীরাই আপনাদের ক্ষমতাচ্যুত করবে।”
আজ ডোমজুড়ের একটি রক্তদান শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সেখানে বক্তব্য পেশ করার সময় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেক নেতাই আছেন যারা শুধুমাত্র নিজের কাজের জন্য তৃণমূল কর্মীদের ব্যবহার করছেন। কর্মীরা ওনাদের কাছে গেলে তাঁদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। যখন দেখি নেতারা কর্মীদের নিজের চাকর হিসেবে ব্যবহার করে সেগুলো আমার দেখে খারাপ লাগে।”
বনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নেতারা তৃণমূলের কর্মীদের দিয়ে বাড়ির কাজ করাচ্ছেন, ড্রাইভারের মতন করে ব্যবহার করছেন। যেসব নেতারা এরকম কাজ করেন, আমি তাঁদের সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি যে, সতর্ক থাকুন। তৃণমূল কর্মীদের বোকা ভেবেন না। একদিন এমন আসবে, যেদিন এই তৃণমূলের কর্মীরাই আপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।”