২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে চলে এসেছে। দেশে নতুন ইতিহাস তৈরী হয়েছে। রাষ্ট্রবাদী শক্তির জয় হয়েছে অন্যদিক কংগ্রেসি, বামপন্থী শক্তির হার হয়েছে। একই সাথে আতঙ্কবাদী, কট্টরপন্থী, ইসলামিক জিহাদীদের সমর্থনকারীদের হার হয়েছে। কনাইয়া কুমার, প্রকাশ রাজ, কেজরিওয়ালের হার হয়েছে। আর।এই তালিকায় আরো একটা নাম যুক্ত হয়েছে তিনি হলেন জম্মু কাশ্মীরের পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
মেহেবুবা মুফতি নিজেকে জম্মুকাশ্মীরের সবথেকে বড় নেতা মনে করেন। উনি পিডিপির সভাপতি এবং অনন্তনাগ থেকে লোকসভার নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য নেমেছিলেন। মেহেবুবা মুফতি আতঙ্কবাদী ও কট্টরপন্থীদের সমর্থন করার জন্য অনেক আগে থেকেই কুখ্যাতি লাভ করেছেন। এটা সেই মেহেবুবা যিনি বলেছিলেন, ইয়াসিন মালিককে মুক্ত করো, ভারতের পতাকা কেউ তুলবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর আজ সেই মেহেবুবার স্থিতি এমন যে, দ্বিতীয় স্থানেও আসতে পারেনি। লোকতন্ত্রের উপর ভরসা রাখা ব্যাক্তিরা ভোট দিয়েছেন এবং ফলাফল সবার সামনের এসেছে। মেহেবুবা মুফতির গালে কড়া থাপ্পড় পড়েছে। মেহেবুবা মুফতি অনন্ত নাগ থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং সেখানে তৃতীয় স্থানে ঠাঁই পেয়েছেন। দেশ রাষ্ট্রবাদের ছাতিতে ভোট দিয়েছে এবং আতঙ্কবাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, মেহেবুবার মতো নেতা নেত্রীদের হার দেশের জন্য একটা বড় সুখবর বলেও ধরা হচ্ছে। এর কারণ মেহেবুবা মুফতির মতো নেতা নেত্রীদের ক্ষমতা যতই কমবে ততই কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে সুবিধা হবে। এমনিতেই সরকার এবার ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার উপর কাজ করবে। যার জন্য এই ধরনের নেত্রীরা বাধা সৃষ্টি করতে পারে।