ঠেলার নাম বাবাজি! লোকসভা ভোটে রাজ্যে ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে ১৮টি আসন জয়ী হওয়ার পর কংগ্রেস ও বাম নেতাদের নিয়ে একসঙ্গে চলতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিধানসভায় নিজের বক্তৃতায় এমনটাই কথা বলেন তিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে পথ চলতে বা ফ্লোর কো-অর্ডিনেশন করতে নারাজ বাম-কংগ্রেস দুই শিবির।
এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “সারাদেশে কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে। যার হাত ধরে বাংলায় বিজেপির আগমন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কো-অর্ডিনেশনের কোনও প্রশ্নই আসে না। আগে তিনি উত্তর দিন কিভাবে তাঁর জমানায় বিজেপি বৃদ্ধি পেল।” এপ্রসঙ্গে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ধর্মীয় রাজনীতি যে শুধু বিজেপি করছে এমনটা নয়।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসও ধর্মীয় রাজনীতি করছে। বিধান চন্দ্র রায় থেকে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। জ্যোতি বসু থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাদের সময়ই কোনও ধর্মীয় রাজনীতির কারবারিরা বাংলায় জায়গা পায়নি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমানাতেই বিজেপির সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে, এটা অস্বীকার করা যাবে না। তাই তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে জোট করে বাম বিধানসভায় কংগ্রেস বিরোধী শক্তি হলে তাদের নূন্যতম সম্মান দেননি মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই অভিযোগ। বরং দুই শিবিরের বিধায়কদের ভাঙিয়ে তাদের দুর্বল করার চেষ্টা করেছে বাংলা শাসক দল। তাই বিজেপি যখন রাজ্য তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। সেই মুহূর্তে কংগ্রেস বামেরা তৃণমূলকে সাহায্য করতে নারাজ।