হিন্দু ভোট নিয়ে যে তিনি রীতিমতো দুশ্চিন্তায় তা বোঝা গেল মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের প্রচার সভায়। এদিন গেরুয়া শিবিরকে হিন্দু বিরোধী বলে খোঁচা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ‘আসমে ২২ লক্ষ হিন্দুকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিজেপি কেমন হিন্দু?’ সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মমতার অনুরোধ, ‘মত বদলান, এবার তৃণমূলকে ভোট দিন৷ দিল্লির সরকার গড়তে তৃণমূল বড় ভূমিকা নেবে৷ একমাত্র তৃণমূলই লড়তে পারে৷ আমরা চাই ভারত থেকে বিজেপি বিদায় নিক৷’
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে। সেই ঘটনাতেও তিনি যে বিচলিত তাও বোঝালেন এদিনের জনসভায়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ইডি, সিবিআই লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বিজেপি সবকটি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করেছে৷ বিরোধীদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে৷ তারওপর কাজের কৈফিয়ত চাইছে বিজেপি৷ তারা কৈফিয়ত চাওয়ার কে?’
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘৪২-এ ৪২ চাই৷ এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এটা বাঁচা মরার লড়াই৷ মোদিবাবুকে বদলে দিন৷ কারণ হিটলারও লজ্জা পেত এদের দেখলে৷’
মমতার কথায়, ‘রাজ্যে একা লড়ছে তৃণমূল৷ কেন্দ্রের তোয়াক্কা না করে মেয়েদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার স্মার্ট কার্ড করেছি৷ বাংলাকে সবথেকে বেশি বঞ্চিত করেছে মোদি সরকার৷ তাই এবার বিজেপিকে উৎখাত করতে তৃণমূলকে ভোট দিন’। হিন্দু সমাজের প্রতি মমতার আহ্বান, এনআরসি লাগু করে হিন্দুদেরই ঘরছাড়া করছে বিজেপি। রায়গঞ্জের জনসভার মঞ্চ থেকে বিজেপির ইস্তেহার নিয়েও কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, ‘২০১৯ সালে ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করে ২০৪৭ সালের স্বপ্ন দেখাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তৃণমূল রাজ্যে রাজ্যে জোট গড়েছে বিজেপি বিরোধিতার জন্য৷ সেই জোটকে সমর্থন করুন৷’