করোনা আতঙ্ককে সঙ্গী করেই ছন্দে ফিরছে বাংলা। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। আর কিছুদিন বাদেই শুরু হচ্ছে উৎসবের মরশুম। ঠিক তার আগেই বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার টুইট করে জানালেন, রাজ্যের সমস্ত সিনেমা হল-সহ সমস্ত বিনোদন মঞ্চ খুলে দেওয়া হবে। তবে অতিথিদের মানতে হবে নির্দিষ্ট নিয়মকানুন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া কি এভাবে বিনোদনের মঞ্চ খুলে দেওয়া যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ঠিক কী জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? টুইটারে মমতা জানান, স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে ১ অক্টোবর থেকে যাত্রা, খেলাধুলো, মুক্তমঞ্চ, সিনেমা হল খোলা হচ্ছে এবং সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও ম্যাজিক শো আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সর্বাধিক ৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে। প্রত্যেককে মানতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধি। মাস্ক বাধ্যতামূলক।
মার্চ মাস থেকে সমস্ত বিনোদন মঞ্চগুলি বন্ধ। ফলে বেজায় বিপাকে পড়েছেন হল মালিক থেকে কর্মীরা। বহু শিল্পীকেও পেটের জ্বালায় পেশা বদল করতে হয়েছে। সরকারি সাহায্য চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন যাত্রা শিল্পীরা। চলচ্চিত্র জগতের বহু নামী শিল্পীও কেন্দ্রের কাছে সিনেমা হল খুলে দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন। এমন আবহে আগামী মাসে দুর্গোৎসব। অন্যান্য বছর এ সময় শিল্পীদের নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। কিন্তু এবারের ছবিটা অন্যরকম। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েই আগামী মাসের গোড়া থেকেই বিনোদন মঞ্চ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে দেশ। সেই অনুযায়ী আনলকের নির্দেশিকা জারি করছে কেন্দ্র সরকার। আনলক ৪’এর নির্দেশিকায় মুক্তমঞ্চগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। সেই অনুযায়ী, রাজ্যেও ওপেন থিয়েটার চালু হয়। তবে সেই নির্দেশিকায় সিনেমা হল খোলার বিষয় কিছু বলা হয়নি। তাই কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া কি রাজ্য নিজে থেকে এই পদক্ষেপ করতে পারে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল।