মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে গরু দুধ দেয়, তার লাথিও খাওয়া যায় । উদ্দেশ্য মুসলিমরা মুখ্যমন্ত্রীর কথানুযায়ী মুসলমানরা ভোট দিয়ে দুধ প্রদানের কাজ করে।আচ্ছা, শুধু মুসলমানরাই কি ভোট দেয়?পশ্চিমবঙ্গে 43.6% থেকে 29.25% বাদ দিলে 14.35% ভোট কিন্তু হিন্দুরা দিয়েছে সুতরাং এই 14.35% হিন্দু মানুষও কিন্তু তৃণমূল দলকে দুধসম ভোট প্রদান করে গরু হয়েছেন।আর দোহন করার জন্য গোয়ালা হয়েছেন কি তৃণমূল সুপ্রিমো?

এতদিন বিভিন্ন ধর্মনিরপক্ষ রাজনৈতিক দল বিজেপি সমর্থক ও নেতা দের গোসন্তান বলে উপহাস করতো।এখন দেখা যাচ্ছে নিজেদের সমর্থকদের গরুর সাথে তুলনা করতে শুরু করেছেন।অর্থাৎ আমরা কী বাবতে পারি যে সব গোসন্তান মুখ্যমন্ত্রীর বানানো গরুদের পরবর্তী পুরুষ?মনে হয় অতটা সরলীকরণ ঠিক নয়।

প্রশ্ন হলো গোপ্রজাতি নিয়ে আলোচনা করতে হলে অবধারিত ভাবে আরও কিছু কথা উঠে আসে। যেমন,গরু কথা বলতে হলে অবধারিত ভাবে ষন্ড বা ষাঁড়ের কথা উঠে আসে।এরসাথে বকনা ও বলদ কথাটাও রয়ে যায় ।দিদি কিন্তু বকনার কথা কিছু বলেননি।বা মনূষ্য উদাহরণে অবিবাহিতা মেয়েকে মনে করলে কিন্তু একটু খটকা লাগে। যেমন,নূসরত ও মিমি কিন্তু বিবাহ না করে এখনও কুমারী তথা গোপ্রজাতির বকনাসম। তা বলছিলাম কি,দিদি কী এদের জন্য বকনা কথা উচ্চারণ করেননি? আর বলদ হয় এঁড়েকে খাসি করার পর। তাহলে দিদির চোখে এঁড়েই বা কারা?

গির এলাকার গোমূত্রে নাকি সোনা পাওয়া যায় । তা ওইমত গরু সম্পর্কে দিদি কী বলবেন?মুসলমানদের প্রস্রাবে কি সোনা মেলে?গোমূত্রে অনেক রোগব্যাধিও নাকি ভাল হয়। তো বলছিলাম রামদেবের সাথে যোগাযোগ করে মুসলমান ও তৃণমূল দলকে ভোট দেওয়া মানুষের মূত্র সংরক্ষণ করা যায় না কি? যদি না যায়,তাহলে তৃণমূল দলই সংরক্ষণ করে ও বোতল বন্দী করে বিক্রয় শুরু করুক-অনেক অর্থ উপার্জন হবে।

শেষ পর্বে বলছি,কথা বলার আগে সেই কথার ফল কি হতে পারে,সে বিষয়ে নজরদান জরুরি।না হলে আগামী নির্বাচনে গরুসম মুসলমানদের লাথি খেতে হতে পারে।মুসলমানী ‘চাটি’ বেশ ভয়ংকর হয়ে হাড়গোড়ও ভেঙে দিতে পারে।তবে একটি বিষয়ে খুশি না হয়ে থাকতে পারছিনা।বিষয়টি হলো,দিদিও শেষ পর্যন্ত গরুর লেজই ধরলেন!

গির এলাকার গোমূত্রে নাকি সোনা পাওয়া যায় । তা ওইমত গরু সম্পর্কে দিদি কী বলবেন?মুসলমানদের প্রস্রাবে কি সোনা মেলে?গোমূত্রে অনেক রোগব্যাধিও নাকি ভাল হয়। তো বলছিলাম রামদেবের সাথে যোগাযোগ করে মুসলমান ও তৃণমূল দলকে ভোট দেওয়া মানুষের মূত্র সংরক্ষণ করা যায় না কি? যদি না যায়,তাহলে তৃণমূল দলই সংরক্ষণ করে ও বোতল বন্দী করে বিক্রয় শুরু করুক-অনেক অর্থ উপার্জন হবে।

শেষ পর্বে বলছি,কথা বলার আগে সেই কথার ফল কি হতে পারে,সে বিষয়ে নজরদান জরুরি।না হলে আগামী নির্বাচনে গরুসম মুসলমানদের লাথি খেতে হতে পারে।মুসলমানী ‘চাটি’ বেশ ভয়ংকর হয়ে হাড়গোড়ও ভেঙে দিতে পারে।তবে একটি বিষয়ে খুশি না হয়ে থাকতে পারছিনা।বিষয়টি হলো,দিদিও শেষ পর্যন্ত গরুর লেজই ধরলেন!

পবিত্র রায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.