গতবারের লোকসভা ভোটের আগে থেকেই নরেন্দ্র মোদীর উপরে চরম ক্ষেপে রয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। গতবারের লোকসভা ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদীর কোমরে দড়ি পড়িয়ে ঘোরানোর কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আবার এরথেকেও উপরে উঠে কানের নীচে চর মারার ও কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী আগা গোঁড়াই সমস্ত বিরোধী দলের নেতা/নেত্রীদের প্রতি মার্জিত ভাষাই ব্যাবহার করে এসেছেন।
তবে এবার আরও ক্ষেপে গিয়ে আরও বাজে বাজে ভাষা ব্যাবহার করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তৃণমূলের নেতাদের কথা বাদই দিলাম, কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রীকে তো শালীনতা বজায় রেখে ভাষণ দেওয়া উচিৎ, তাই নয় কি?
উনি লোকসভা ভোটের প্রচারে বেড়িয়ে নানারকম ইস্যু নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে চলেছেন। যদিও সেটা অস্বাভিক কিছুই না। রাজনৈতিক দিক থেকে আপনি সবার বিরোধিতা আর সবাইকেই আক্রমণ করতে পারেন। কিন্তু অন্তত ভাষাটা মার্জিত হওয়া উচিৎ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিজে প্রধানমন্ত্রীকে ওনার বক্তব্যের জন্য নিন্দা করেছিলেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোন ভাষাই নিন্দার মত পাওয়া যায়নি। উপরন্তু বিভিন্ন সভায় গিয়ে নিজে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করে রাজ্য তথা বাঙালীদের অপমান করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
গতকাল উনি এক সভা থেকে নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রীকে নিয়ে এমন এক মন্তব্য করে বসেন, যেটা পাতে নেওয়ার যোগ্য না। আর দেশের তথা রাজ্যের মানুষ অন্তত একজন মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এহেন ভাষা শুনতে চায়না। একটি দৈনিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী উনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘নিজের বিবিকেই কখনো দেখেনি মোদী”
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য গুলো আমাদের সেই পুরানো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে তাপস পালের কথা মনে করিয়ে দেয়। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তাপস পালও এহেন অশালীন মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। আর সেই পথেই হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
দৈনিক সংবাদ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী উনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তুই তোকারিও করেন। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী উনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগে দিল্লি সামলা, পরে ভাববি বাংলা”
আরেকটি সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী উনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে আরও কুরুচিকর মন্তব্য করেন। ওই সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী উনি এনআরসি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ কোর্টে গিয়ে বলেন, ‘ঢুকিয়ে দেবো হ্যাঙারের তলায়।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জনসভায় জনপ্রতিনিধি হয়ে বক্তৃতা দেন। কিন্তু অনেক সময় ওনার মাথার অক্সিজেন কমে যাওয়াতে উনি একজন মুখ্যমন্ত্রী না, দলের ক্যাডার বলেই নিজেকে পরিচয় দিয়ে এহেন কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন!