মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীরাম ভারতবর্ষের শৌর্য বীর্যের প্রতীক।
তাঁর নামে জয়ধ্বনি ভারতবর্ষের সকল হিন্দুই দলমত নির্বিশেষে দিয়ে থাকে।
বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে গোটা পৃথিবীটাই হাতের মুঠোয় এসেছে। ফলত
উত্তরপ্রদেশের স্লোগান পশ্চিমবঙ্গে, আবার পশ্চিমবঙ্গের স্লোগান কেরলে খুব
সহজেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাছাড়া বিজেপির উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুদের
অস্মিতা ও আত্মবিশ্বাস পুনর্জাগরিত হচ্ছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই
‘জয়শ্রীরাম’ ধ্বনি আসমুদ্র হিমাচল জুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। প্রশ্ন
হলো আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই স্লোগান শুনে খেপে যাচ্ছেন কেন?
তিনি কি আদৌ খেপে যাচ্ছেন। নাকি খেপার ভান করছেন ? মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত
কৌশলী, নাটুকে ও ধুরন্ধর নেত্রী। তিনি সেখানেই রাগ প্রদর্শন করেন সেখানে
তার লাভ দেখেন। সেকারণেই প্রথম যখন তিনি রাস্তায় কনভয় দাঁড় করালেন ‘জয়
শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনে তার খেপে যাওয়াকে অনেকেই বালখিল্য আচরণ হিসেবে গণ্য
করেছেন। কিন্তু একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবং তার বিখ্যাত সাংবাদিক সম্মেলন,
পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন, ইমরান হাসানকে সাংসদ করা, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ
এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান প্রত্যেকটি এক সূত্রে গাঁথা এবং লক্ষ্য স্থির রেখে
এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা।
একটু বিশ্লেষণ প্রয়োজন। প্রথমে আসি ইমরান
হাসানকে সাংসদ করা নিয়ে। তিনি আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় গড়ে
তোলেন ইসলমিক সন্ত্রাসবাদী ছাত্র সংগঠন এস আই এম আই। এই প্রতিষ্ঠানের মধ্য
দিয়ে মুসলমান সমাজে তিনি একজন জেহাদি নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। তার সেই
মুসলমান ইমেজ ব্যবহারের জন্য তার সাপ্তাহিক ‘কলমপত্রিকা সারদা গ্রুপ
অধিগ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনে। তার পরের উত্থান আরও চমকপ্রদ।
একেবারে রাজ্যসভার সাংসদ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ একজন মুসলমান জেহাদি
নেতা। তৃণমূল কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ থেকে মুসলমানদের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা
পাওয়ার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। একই সঙ্গে জেহাদি ইসলামিক সংগঠনগুলিকেও
বার্তা দেওয়া যে দুই বাংলার একত্রীকরণ বা বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনেও সঙ্গে
রয়েছে তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ এই
শব্দ বন্ধেই রয়েছে ইতিহাস। পশ্চিম থাকলে পূর্ব কোথায় গেল? এই প্রশ্নের
উত্তর খুঁজতে গেলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠবে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং,
নোয়াখালি দাঙ্গা-সহ হাজারো দাঙ্গা। দ্বিজাতি তত্ত্ব। কংগ্রেসের
দ্বিচারিতা, কমিউনিস্টদের ভারত বিরোধী মনোভাব সহ গত শতকের প্রথমার্ধের এই
ভারতভূখণ্ডের সম্পূর্ণ ইতিহাস। এই ইতিহাসের সঠিক তথ্য যাতে বর্তমান ছাত্র
যুব সমাজ মনে না রাখে তার দিকে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস উভয়েই যত্নবান।
তৃণমূল কংগ্রেস ঘোষিত মুসলমান তোষক দল হিসেবে মুসলমানদের দাঙ্গার ইতিহাস
মুছে দিতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। আর এর জন্য তারা জুটিয়ে নিয়েছে কিছু
তাবেদার বুদ্ধিবেচাদের। তারাও কাড়াকাড়া। দুন্দুভি বাজিয়ে নেত্রীকে
সমর্থন করার জন্য জুটে গেল। তারা সবাই জানে ইতিহাসের গুরুত্ব কতটা।
বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন, ইতিহাস বিস্মৃত জাতির ধ্বংস অনিবার্য। এর অর্থ আমাদের
ধ্বংসের পথ পরিষ্কার করে বৃহত্তর ইসলামিক বাংলাদেশ গঠন ত্বরান্বিত করাই এর
মূল উদ্দেশ্য। সেজন্য মুসলমান সমাজ তৃণমূলের আর ও নিকটে আসবে এটা
স্বাভাবিক প্রবণতা।
বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রকাশ, পশ্চিমবঙ্গ এখন
বাংলাদেশি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন-সহ পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলোর মুক্তাঞ্চল
হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর আন্তর্জাতিক সীমানা, নেপালের সঙ্গে বাধাহীন
যোগাযোগ এবং সর্বোপরি শাসকের প্রশ্রয় এর অন্যতম কারণ। তদন্তে প্রকাশ,
পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহৃত বোমা ঢাকায় ব্যবহৃত হয়েছে। তাহলে পশ্চিমবঙ্গে
ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের নাশকতার সংখ্যা কম কেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে
গেলে কালিয়াচক কাণ্ড ও খাগড়াগড় কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের তদন্ত যে ধামাচাপা
দেওয়ার প্রচেষ্টা দেখলেই বোঝা যায়। এর থেকেই অনুমান করা যায় শাসকের
সঙ্গে জেহাদি গোষ্ঠীর গোপন আঁতাতের। আমরা তোমাদের আশ্রয় দেবো, তোমরা
আমাদের বাড়িতে কিছু করো না। অথবা জেহাদি জঙ্গিরা এটাও ভাবতে পারে যেখানে
সরকার তাদের কাজ করছে সেখানে তাদের নতুন করে নাক গলানোর প্রয়োজন নেই। তবে
শাসকদলের প্রশ্রয়ে, কখনও কখনও উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গে ইসলামিক সংগঠনের
বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো। নাখোদা মসজিদের ইমামের দেওয়া ফতোয়া নিশ্চয়ই
আমরা ভুলে যাইনি। আমরা উলুবেড়িয়ার ফুটফুটে ফুলের মতো মেয়েটির মাথা ফাটা
ছবিটা ভুলে যাইনি। তার অপরাধ ছিল তাদের প্রিয় বিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজা
করতে দিতে হবে। কলকাতার রাজপথে যারা পাকিস্তানের পতাকা হাতে মিছিল করেছিল
তাদের কাউকেই কিন্তু পুলিশ গ্রেপ্তার করেননি। আর কালিয়াচকে একটি থানা
জালিয়ে দেওয়া হলো অথচ পুলিশের বন্দুক নীরব রইল। এর প্রত্যেকটি পদক্ষেপ
বৃহত্তর ইসলামিক বাংলাদেশ গঠনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা
আমাদের প্রিয়। পশ্চিমবঙ্গকে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভাষাগত মিল
থাকলেও ভাষার টান এবং শব্দচয়নের একটা ফারাক নজরে পড়ে। পরবর্তীতে বৃহত্তর
বাংলাদেশ গঠনের পথে এই ফারাক যাতে অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায় তার দায়িত্ব
রাজ্য সরকারের নির্দেশে মাথায় তুলে নিয়েছেন বিদ্যালয় সিলেবাস কমিটি! এ
ব্যাপারে সকলেই অবগত যে বিদ্যালয় স্তরের প্রত্যেকটি বিষয়ে ইসলামিক শব্দের
বহুল ব্যবহার। এই বিষয়ে ড. অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের লেখা সোশ্যাল সাইটে
ঘুড়ছে। এসবই হচ্ছে সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়কে খুশি করার জন্য এবং
বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
২০১১ সালে তৃণমূল
ক্ষমতায় আসার অব্যবহিত পরেই তোষণের শুরু। মমতা সরকার পশ্চিমবঙ্গের
স্কুলগুলিতে ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং
সেখানে শুধুমাত্র মুসলমান ছাত্রীদের দেওয়া হয়। এনিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা
হলে পরবর্তীতে হিন্দুছাত্রীদেরও দেওয়া হয়। এনিয়ে এবিভিপি বৃহত্তর
আন্দোলন গড়ে তুললে সরকার বাধ্য হয়ে ‘সবুজসাথী’ প্রকল্প চালু করে এবং
সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পশ্চিমবঙ্গের
মাদ্রাসা বোর্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিকের ফলাফল প্রায়
একই সময়ে বেরোয়। এখানেও তোষণ। ২০১৪ সালে মাদ্রাসায় প্রথম দশের
সংবর্ধনায় মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে প্রত্যেককে একটি করে ল্যাপটপ উপহার
দেন, অথচ মাধ্যমিকে প্রথম দশ স্থানাধিকারিকে শুধুমাত্র দু’একটি বই।
সবার
নিশ্চয়ই স্মরণে আছে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে
অত্যন্ত গর্বের। সঙ্গে বলেছিলেন সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ খাতে যে অর্থ
বরাদ্দ হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ প্রদান করা হয়েছে। একথা সত্য।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অর্থ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী
প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপে ৫০ শতাংশ নম্বর প্রয়োজন। কিন্তু স্কলারশিপ
সকলকেই দেওয়া হয়েছে। এখনো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ৯৭ শতাংশ মুসলমান ওবিসি
সম্প্রদায়ভুক্ত। সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ওবিসি স্কলারশিপ এবং মাইনরিটি
স্কলারশিপ উভয়ই পাচ্ছে। আধার কার্ডের অন্তর্ভুক্তির । বিরোধিতা করার এটিও
একটি কারণ।
লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার অব্যবহিত পরেই মমতা ব্যানার্জি এক
সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। সেইখানে তিনি মুসলমানদের ত্রাতা হিসাবে নিজেকে
তুলে ধরার প্রয়াস করলেন। তিনি বললেন ‘দুধ দেওয়া গোর লাথি খাওয়াও ভালো।
(ভাবানুবাদ) এই বক্তব্যে পরিষ্কার তিনি সংখ্যালঘুদের যতটা গুরত্ব দেন।
সংখ্যাগুরুদের ততটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। তিনি সংবিধান
মেনে যেশপথ। নিয়েছেন তা তিনি মানেন না। দুধ দেওয়া গোরর লাথি খাওয়া
অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা অপরাধ করলেও তা তিনি সহ্য করে নেন এবং নেবেন। এই বার্তা
দেওয়ার পরে খুব স্বাভাবিকভাবেই জেহাদি মুসলমানরা তাদের কার্যকলাপে উৎপাহ
পাবে এটা মুখ্যমন্ত্রী বেশ ভালো করেই বোঝেন। নীলরতন হাসপাতালে ডাক্তারদের
ওপর হামলা তার ইঙ্গিতকে প্রমাণ করেছে। অর্থাৎ বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনের পথে
এটিও একটি সুস্পষ্ট বার্তা।
মমতা ব্যানার্জির ‘জয় বাংলা’ শব্দ বন্ধ
প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের
‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ তাদের ১১ দফা কর্মসূচির মধ্যে ‘জয় বাংলা’
স্লোগান অন্তর্ভুক্ত করে। পরবর্তীতে এই স্লোগান বাংলাদেশ স্বাধীন করার
জন্য একটি জনপ্রিয় এবং উৎসাহ বর্ধক স্লোগান হিসেবে উচ্চারিত হয়। ১৯৬৯
সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শেখ। মুজিবুর রহমান জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রমনা
রেস কোর্স মাঠে যে জমায়েত হয়েছিল তা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে
উঠেছিল। বাংলাদেশ মুক্তি ফৌজ’-এর স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’। ১৯৭১ সালের ২৭
মার্চ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। সেই উপলক্ষে
বাংলাদেশ রেডিয়োতে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে ভাষণ রাখেন মেজর জিয়াউর
রহমান। তিনি ভাষণ সমাপ্ত করেন ‘জয় বাংলা’ বলে।
এখন প্রশ্ন হলো, অন্য
দেশের এমন একটি ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্যবহৃত স্লোগান আমাদের
মুখ্যমন্ত্রী ব্যবহার করতে এত তৎপর কেন? তিনি কি এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে
অবগত নন? এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবির কোলাজ-সহ এই স্লোগান লেখা
হয়েছে তা কতটা সমীচীন? মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণ জেনে বুঝেই এই স্লোগান
ব্যবহার করেছেন বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনের চূড়ান্ত ধাপে উপনীত হওয়ার জন্য।
সবচেয়ে যন্ত্রণার কথা, এই কাজে তিনি জনতার দেওয়া। সাংবিধানিক ক্ষমতার
অপপ্রয়োগ করছেন। তিনি এই লক্ষ্যে মহাপুরষদের ছবি অন্যায়ভাবে ব্যবহার
করছেন। যাদের ছবি তিনি ব্যবহার করেছেন তাঁরা সকলেই প্রাদেশিকতার ঊর্ধ্বে
এবং তাঁদের অনেকেই আন্তর্জাতিকতাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন।
বর্তমান শাসকদলের
একটি বড়ো সমস্যা তারা ভারতীয় জনতা পার্টিকে এখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ
দল বলতে পারছে না। তৃণমূল চেষ্টা করেও নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তারা চেষ্টার ত্রুটি
রাখছেনা। বিজেপিকে এই বিষয়েও সাবধান হতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের এই
দুঃসময়ে জাতীয়তাবাদী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলির দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।
সাধারণ মানুষের কাছে তাদের আরও অনেক বেশি বেশি করে যেতে হবে। তৃণমূলের
অভিসন্ধি তাদের সামনে উন্মোচন করতে হবে। সাধারণ মুসলমান। সমাজে কিন্তু
বৃহত্তর বাংলাদেশ চান না। সে কারণে তাদের পাশে থাকার বার্তাও পৌঁছে দিতে
হবে। জেহাদি তৃণমূলের হাত থেকে বাঙ্গলার হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনাই এখন
দেশপ্রেমিক মানুষের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
স্বপ্নময় ভট্টাচার্য
2019-06-24