এই বর্ষায় চাষিদের যাতে সাপের কামড় থেকে বাঁচানো যায় তা নিয়েই কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অকুস্থল এসএসকেএম হাসপাতাল। মঞ্চ থেকে দর্শকাসন,-শ্রোতাদের মধ্যে নব্বই শতাংশই চিকিৎসক। তাঁদের সামনে সাপ নিয়ে এ বার নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মমতা।
বললেন, এই বর্ষায় খালি পায়ে হাঁটা ঠিক না। “এটা আমার পক্ষেও বিপজ্জনক, আমি তো খালি পায়ে হেঁটে চলি সারাক্ষণ!” তার পরই মমতা জানান, কী ভাবে কলকাতার ইলিয়ট পার্কে হাঁটতে গিয়ে তাঁর সর্প সাক্ষাৎ হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এখানে একটা পুলিশের পার্ক রয়েছে। ইলিয়ট পার্ক। আমি আগে সেখানে হাঁটতে যেতাম। এখন আর আমি যাই না, বিশেষ করে গরমকালে আর বর্ষাকালে। তার কারণ আমি একদিন গিয়ে দেখেছি, তিনটে সাপ ফণা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। একটা সাপ তো জল থেকে উঠছে সাঁতার দিয়ে। যে হেতু বর্ষার জলে পুকুর ভরে গেছে..”।
মুখ্যমন্ত্রী যখন এ কথা বলছেন, তখন উপস্থিত অনেক ডাক্তারের অভিব্যক্তি ছিল দেখার মতো! চোখ স্থির করে অনেকেই বিস্ময়ের সঙ্গে শুনছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রথমে তো পুলিশ আমায় বলে দিয়েছিল এগুলো ঢোঁড়া সাপ! আমি বললাম মোটেই না। যে সাপগুলো এরকম ভাবে (হাত ফণার মতো করে দেখিয়ে) ফণা তোলে সেগুলো বিষধর সাপ। দু’টো সাপ দেখছি বেরিয়ে যাচ্ছে। দু’টো সাপ দেখছি ফণা তুলে আছে। সে আপনি কার্বলিক অ্যাসিড দিন আর যাই দিন”।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একটা ব্যাপারে অবাক। কখনও কখনও জল কম থাকলেও ইলিয়ট পার্কে নাকি সাপ দেখা যায়। তিনি নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশ্ন করেন, জল কম থাকলেও ওরা কী করে আসে। পুলিশ তাঁকে জানিয়েছে, সাপগুলো নিকাশি নালী দিয়ে আসে।
মমতার কথায়, “খাস কলকাতায় যদি এরকমই হয় তা হলে গ্রামে গঞ্জে কী অবস্থা!”