মালদার আগুনে ঝলসানো তরুণী কে, ২৪ ঘণ্টা পরেও জানা গেল না নাম পরিচয়

তরুণীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনার তদন্তে ইংরেজবাজার থানার আইসির নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল তৈরি করল জেলা পুলিশ। শুক্রবার সকাল সকালই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাঁরা। তদন্তে আসেন জেলার এসপি অলোক রাজোরিয়া-সহ অন্য পদস্থ কর্তারাও।

এক তরুণীর দগ্ধ দেহ ঘিরে বৃহস্পতিবার তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ইংরেজবাজারের কোতোয়ালিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলার পদস্থ পুলিশকর্তারা। ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ। ওইদিন ভোরে জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় টিপাজনি এলাকার চাকলা মোড়ে ওই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। খবর রটতেই তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। প্রমাণ লোপাটের জন্যই ধর্ষণের পরে ওই তরুণীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করার পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওই তরুণীর দেহ। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটলেও এখনও মৃতার নাম ও পরিচয় জানতে পারেননি তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া এ দিন বলেন, “গতকালের পর আজও মৃতদেহ যেখানে পড়েছিল সেখান থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে‌, যা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। ওই যুবতীকে কেন খুন করা হয়েছে, তা জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি। পাশাপাশি সমস্ত তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ওই এলাকায় যে সিসিটিভি রয়েছে, সেগুলির ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার সমস্ত থানাকে বলা হয়েছে কোনও তরুণী নিখোঁজ হয়েছে এমন ডায়েরি পেলেই তৎপরতার সঙ্গে খোঁজখবর নিতে।

প্রাথমিক তদন্তের পর বৃহস্পতিবারই ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ জানিয়েছিলেন,  ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী ওই যুবতীর দেহের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁর যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্নও মিলেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ওই তরুণী অবিবাহিত বলেই মনে করা হচ্ছে। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া এক জোড়া জুতো পুরুষের বলেই অনুমান। সেখান থেকে কিছু দেশলাই কাঠিও উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে আমবাগানের মধ্যে পড়েছিল ওই তরুণীর দগ্ধ দেহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.