আজই বেড়িয়ে এলো লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ এর ফলাফল। দেশ জুড়ে এবার আর মোদী ঝড় না, মোদী সুনামি বয়ে চলেছে। দেশের বারোটি রাজ্য থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে ৬০ বছর ধরে দেশের ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসকে। এমনকি ইতিহাসে প্রথমবার গান্ধী পরিবারের দুর্গ বলে পরিচিত আমেঠি থেকে গান্ধী পরিবারের সদস্য তথা কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী হেরে গেছেন। দেশে মোদী সুনামি এতটাই তীব্র ছিল এবার যে, কংগ্রেস শাসিত রাজ্য গুলোতেও কংগ্রেস লোকসভা আসনে একটিও সিট পায়নি। নির্বাচনের আগে কংগ্রেস বারবার দাবি করে বলছিল যে, তাঁরাই এবার সরকার গড়বে। এমনকি দুদিন আগে কংগ্রেসের নিজেদের করা সমীক্ষায় বিজেপিকে ২০০ আসনের নীচে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ দেশে প্রবল মোদী ঝড়ে বিজেপি একাই ৩০০ এর উপরে আসন দখল করতে চলেছে। এবং এনডিএ প্রায় ৩৫০ আসনে কবজা করছে।
লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ এর ফলাফল আসার পরেই কয়েকটি রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। রিপাব্লিক টিভির সূত্র অনুযায়ী, কর্ণাটকের শাসক দলের ১৭ জন বিধায়ক দল ছাড়তে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ৪৭ জন বিধায়কও দল ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আরেকদিকে মধ্যপ্রদেশের ৬ জন বিধায়ক কমলনাথ সরকারের হাত ছাড়তে চলেছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী সমস্ত তৃণমূল বিধায়কদের দলীয় অফিসে বৈঠকের জন্য ডেকেছেন। আরেকদিকে জনতা দল সেকুলার (JDS) এর নেতারা দেবেগৌড়ার আবাসে বৈঠক সারছেন। রিপাব্লিক টিভির রিপোর্ট অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন।