বড় সমস্যার সন্মুখিন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। সামনেই বিহারের (BIhar) বিধানসভা নির্বাচন। আর করোনার সঙ্কটের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি ধীরে ধীরে শুরু করেছে রাজনৈতিক দল গুলো। কিন্তু নির্বাচনে নিজের ক্ষমতার প্রদর্শন করা জেডিইউ এর প্রাক্তন সহ সভাপতি তথা রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরের চমক এই বিধানসভায় ফিকে পড়ছে।
‘ফির একবার হো, নিতিশ কুমার হো” এর স্লোগান দেওয়া প্রশান্ত কিশোর যখন নিতিশ কুমারের থেকে আলাদা হন, তখন উনি প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়েছিলেন যে, উনি বিহারের মানুষের সাথেই থাকবেন। প্রশান্ত কিশোর পুরো বিহারে ‘বাত বিহার কি” অভিযান শুরু করেছিলেন।
ওই অভিযানে অনলাইনের মাধ্যমে বিহারের যুব সমাজকে যুক্ত করে রাজনীতিতে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পিকের তরফ থেকে। বাত বিহার কি লঞ্চিং এর পর অনলাইনে মেম্বারশিপ যেমন চলছিল, তেমনই পিকে বিহারের রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে নিজের জন্য একটি জায়গা খুঁজছিলেন। কিন্তু বিহারের রাজনীতির গলিতে পিকে কোথাও জায়গা পায়নি।
সুত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিহারে কাজ করা নিজের পিকের সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (I-PAC) কে গোটানর কাজ শুরু করেছে পিকে। I-PAC এর পাটনা ব্রাঞ্চে কমপক্ষে ২৫০ জন কাজ করে। এর মধ্যে ৭৫% সেন্ট্রাল টিম। আর ১৫০ এর বেশি রিসার্চার এবং মনিটরিং এর কাজ করে। পিকে এবার এদের সবাইকে মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু আর পশ্চিমবঙ্গে পাঠানোর কাজ শুরু করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিহারে I-PAC এর শুধু নামমাত্র কয়েকজন থাকবে। সেখানে কাজ করা কর্মচারীদের বলে দেওয়া হয়েছে যে, কাজ শেষ হলেই তাদের বিহারের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কারণ এখন বিহারে কোন রাজনৈতিক দলই পিকেকে কাজ দিচ্ছে না। আর বিগত দুটি নির্বাচনে যাঁদের জন্য কাজ কোর্ট পিকে, এবার তাঁরাও দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
যদিও I-PAC এর বোর্ড মেম্বার্সদের মিটিংয়ে বেশ কয়েকজন স্বীকার করেছেন যে নিতিশ কুমারের সঙ্গ ত্যাগ করা ঠিক হয়নি পিকের। সবথেকে অবাক করা কথা হল, পিকে যেই বাত বিহার কি অভিযানের মাধ্যমে বিহারের মানুষের কাছে পৌঁছানর প্রয়াস করছিলেন, এবার সেই অভিজানেও আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে। যদিও I-PAC এর টিম চেষ্টা করছে যে, এই অভিযান যে করেই হোক বাঁচাতে হবে।