নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরী জেলা। ১৩ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্বাসরোধ করা হয়ে তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন মৃত নাবালিকার বাবা। একইসঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয় নৃশংসভাবে। দোষীরা ওই নাবালিকার চোখ উপড়ে ও জিভ কেটে দেন বলেও জানান তিনি।
পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজার পরে আজ সকালে আখের খেত থেকে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ওই গ্রামেরই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ওই নাবালিকার এক আত্মীয় অভিযোগ তোলেন, এই ঘটনায় তিন জন জড়িত রয়েছে।
এই রোমহর্ষক ঘটনাটি শুক্রবার নেপাল সীমান্তের কাছে ঈশাননগর থানার একটি গ্রামে ঘটে। নাবালিকা মেয়েটি শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল। জানা যায়, ওই দিন দুপুরে ১টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ ফিরে না আসায় মেয়েটির খোঁজ শুরু করে তাঁর বাবা। তারপর গ্রামের কাছে একটি আখের খেতে ক্ষতবিক্ষত চোখ ও জিভ কাটা অবস্থায় মেয়েটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। পোস্ট মর্টেম নিশ্চিত করা যায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় দু’জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা আইন মোতাবেক দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ চলতে শুরু করেছে। বহু জন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী এই ঘটনার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এদিন তিনি টুইট করে বলেন, “লখিমপুর খেরী জেলার পাকারিয়া গ্রামে নৃশংস ও লজ্জাজনকভাবে একটি দলিল নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। এরকম ঘটনা চলতে থাকলে সমাজবাদী পার্টির সরকার এবং বর্তমানে বিজেপি সরকারের মধ্যে কি কোন পার্থক্য থাকবে? দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।” অন্যদিকে এই ঘটনায় ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবি তোলেন।