সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ চলছে রাজ্যের দু’টি আসনে। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ ভোটারের সামনে সুযোগ রয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের। ভোটদান পর্ব শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কোচবিহারে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান রাজ্য শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
এরপর কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিককে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ”পুনঃনির্বাচন হোক, হলে আমাদেরই ভালো হবে। যে সব কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই সেখানে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।” বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ শুরুর প্রথম ঘন্টাতেই কোচবিহারে দফায় দফায় রাজনৈতিক অশান্তির ছবি উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে।
এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে লড়ছেন তৃণমূল থেকে বিজেপি আগত নিশীথ প্রামানিক। অন্যদিকে কোচবিহারে প্রভাব রয়েছে তৃণমূলের দাপুটে নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। সম্প্রতি একটি বাংলা বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের টক-শোতে অন ক্যামেরা নিশীথ এবং রবীন্দ্রনাথ ঝামেলায় জড়ান। এই সাপে-নেউলে সম্পর্কের প্রভাব পড়ছে কোচবিহারের ভোটেও।
এদিন সকালে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর একটি বাংলা বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিক খবরে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুমকি দিচ্ছেন রীবন্দ্রনাথ ঘোষ। কোচবিহারের দিনহাটা, শীতলকুচি সহ একাধিক জায়গাতে শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটারদের আটকে দেওয়া ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তোলে বিজেপি। সংবাদমাধ্যমেও সে ছবি দেখা গিয়েছে।
এরপর কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিককে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “আপনার কয়েকদিন আগে দেখেছেন উনি(রবীন্দ্রনাথ ঘোষ) অন ক্যামেরা কিরকম ভাবে আমাকে আক্রমণ করেছেন। ওঁর পক্ষে সব সম্ভব। আবার দাবি করছে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হলে ভোট ভালো হত। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এত ভয় কিসের? কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় পঞ্চায়েত ভোটের মতো সব জায়গাতে ভোট লুঠ করতে পারছেন না তাই এসব দাবি করছেন?”