বিধাননগর পুরসভায় অনাস্থা নিয়ে কটাক্ষ মেয়র সব্যসাচীর৷ তবে অনাস্থার চিঠি এখনও হাতে পাইনি৷ পেলে তখন ভাববো৷ আইনের বাইরে কেউ নয়৷
সূত্রের খবর, গতকালই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ফোন করে সব্যসাচী দত্তকে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেন৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে সব্যসাচী জানান, আমার কাছে এই ধরনের কোনও ফোন আসেনি৷ আর ফোনে মেয়র হইনি,ফোনে মেয়র পদ চলে যায় না৷ চিঠি পেলে তখন ভাববো৷ এক প্রকার দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি সোমবার বিকালে বিধাননগর পুরসভায় যান৷ এবং মেয়রের চেয়ারে বসে জানান, মেয়র হিসেবে যে কাজ করার তা করে যাব৷ গতকালের পর আজও তিনিও পুরসভায় যান৷ অনাস্থা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে জানান, আমার কাছে এখনও কোনও চিঠি আসেনি৷ অনাস্থায় ৩৫ জন কাউন্সিলর সই করা প্রসঙ্গে সব্যসাচী দত্ত কটাক্ষের সুরে বলেন, মাত্র ৩৫ জন, আমি তো জানি ৪০ জন সই করবেন৷ বাকিরা করবে৷ আর আমার দলে আমি আছি৷ এবার দেখুন না কি হয়৷
দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে মেয়র সব্যসাচী দত্তকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দিতে দল কড়া সিদ্ধান্ত নিল৷ তার বিরুদ্ধে আনা হল অনাস্থা প্রস্তাব৷ সেখানে যদি তিনি হেরে যান তা হলে কি করবেন৷ সে প্রসঙ্গে সব্যসাচী দত্ত জানান, ১৯৯৫ সাল থেকে বিধাননগরের পৌর প্রতিনিধি৷ যখন পৌর প্রতিনিধি হই তখন বিরোধী দলে ছিলাম৷ ফের যদি সেরকম কোনও ঘটনা ঘটে তাগলে আবার বিরোধী প্রতিনিধি হিসেবেই কাজ করবো৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল কাউন্সিলররা৷ ৪১ জন কাউন্সিলর মধ্যে ৩৫ জন কাউন্সিলর সইসহ পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়৷ নিয়ম অনুযায়ী ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই একটি বোর্ড মিটিং ডেকে ভোটের দিন ঠিক করা হবে৷ বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি পেয়েছি ৷ এবার নিয়ম মেনেই সব কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে৷ আমি দলের একজন সৈনিক৷ দলের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করব৷