রাঁচিতে যাত্রী বোঝাই বাসের উপর জেহাদীদের আক্রমন! যাত্রীদের জ্বালিয়ে দেওয়া জন্য ছড়ানো হলো পেট্রোল।

ঝাড়খণ্ডের রাঁচি শহর গুজরাটের গো-ধরা হওয়ার থেকে একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছে। রাঁচি থেকে যে খবর সামনে আসছে তা খুবই চাঞ্চল্যকর। আসলে চোর তাবরেজ আনসারীর মব লিংচিং এর প্রতিবাদ করতে কট্টরপন্থীদের ভিড় রাস্তায় নেমেছিল। এই ভিড় রাঁচির নান জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং উৎপাত করেছিল। রাজেন্দ্র চকের কাছে কট্টরপন্থীদের ভিড়ের কাছে একটা বাস চলে আসে। কট্টরপন্থীরা আওয়াজ তুলতে শুরু করে যে বাসটা জ্বালিয়ে দাও। এর মধ্যে বাসের মধ্যে থেকে কিছু যুবক বলে যে তারাও একই সম্প্রদায় থেকে। এরপর জেহাদীরা বাস থেকে যুবকদের বের করে নিয়ে আসে এবং জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্যে পেট্রোল ছড়িয়ে দেয়।

ভাস্করে এর খবর অনুযায়ী, বাসের মধ্যে থাকা এক ছাত্র নাম না বলার শর্তে জানিয়েছে যে বাসে ৫০ জন ছাত্র ছিল। কট্টরপন্থীদের ভিড়ের সামনে বাস চলে এলে তারা বাসটিকে যাত্রী সহ জ্বালিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাসের মধ্যে কিছু ছাত্র চিৎকার করে বলে যে তারা মুসলিম। এরপর মুসলিম ছাত্রদের বের করে বাকি বাস জ্বালিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জেহাদীরা। বাসের কাঁচ ভেঙে পেট্রোল ছুঁড়ে দেওয়া হয়। এরপর স্থানীয় কিছু লোকজন এসে জেহাদীদের হাত থেকে বাসকে রক্ষা করে।

জানিয়ে দি, অভিযোগ উঠেছে যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তোষণ নীতির কারণে জেহাদীদের উৎপাত চরমে উঠেছে। দুই সরকার মুখে রাম নাম নিলেও এখন ভোট ব্যাঙ্কের জন্য এক সম্প্রদায়কে খোলাখুলি ছাড় দিচ্ছে। আর এর ফল ভুগতে হচ্ছে হিন্দুদের। সম্প্রতি চোর তাবরেজকে নিয়ে মিডিয়া যে মিথ্যা প্রচার করেছে তাতে জেহাদীদের উৎপাত দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে।

জানিয়ে দি, চোর তাবরেজ ধরা পড়ার পর বলেছিল যে সে হিন্দু তাই স্থানীয়রা সন্দেহ প্রকাশ করে যাচাই করতে জয় শ্রী রাম, জয় হনুমান বলিয়েছিল। এরপর তাবরেজ আনসারী পুলিশের হেফাজতে মারা গেছিল। কিন্তু মিডিয়া প্রচার করেছিল যে জয় শ্রী রাম বলিয়ে মবলিনচিং করে এক মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও দালাল মিডিয়া হিন্দুদের উপর হওয়া মবলিনচিং নিয়ে একবারে নিশ্চুপ থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.