করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি, জেনে নিন সেফ হোমের ঠিকানা

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর । সোমবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে গিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের উদ্যোগ জানিয়ে আসেন। এদিকে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সোমবারই আলিপুরের উত্তীর্ণ স্টেডিয়ামে করোনা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনী প্রচারে আমি এখন আর থাকছি না। আমি এখন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে সেফ হোম করার কাজে উদ্যোগ নিচ্ছি।” রাজ্য সরকার করোনা থেকে রাজ্যের মানুষদের বাঁচাতে যে সার্বিক উদ্যোগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ফিরহাদ হাকিম সোমবার সেই কথাই জানান। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে জানিয়ে আসেন রাজ্যের মানুষদের করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই দিতে রাজ্য সরকার সার্বিক উদ্যোগ নিয়েছে।

আলাপনবাবু রাজ্যপালকে বলেন, রাজ্যের সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সাকুল্যে ৪৫% শয্যা বাড়ানো হয়েছে। স্কুলগুলো মঙ্গলবার থেকে আবার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গত বারের তুলনায় করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো আরও অনেক বাড়ানো হয়েছে। তবে করোনা চিকিৎসায় ভ্যাকসিন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ কেন্দ্রের থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যপালের কাছে মুখ্যসচিব এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানান বলে জানা যাচ্ছে।

এদিকে ফিরহাদ হাকিম উত্তীর্ণতে বৈঠক শেষ করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই আমার সবকিছু। তিনি আমায় বলেছেন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে। আমি আমার বিধানসভার প্রচারের কাজ বন্ধ করে এখন শুধু করোনার জন্য সেফ হোম তৈরী, মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ করবো। করোনা নিয়ন্ত্রণে আমি রাস্তায় নেমে , ঘুরে ঘুরে কাজ করবো, নির্বাচনী প্রচার করবো না। আমি এখন আর কলকাতা পুরসভার মেয়র নেই। তবে রাজ্যের পুরমন্ত্রী হিসেবে আমি সবকটি পুরসভাকে এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী হিসেবে জরুরি পরিষেবার কাজ করার জন্য পরামর্শ দেব। উত্তীর্ণতে ৫০০ বেড, কিশোরভারটিতে ৫০০ বেড, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ২০০ বেড, আনন্দপুরে আরও ৭০০ বেড সেফ হোমের জন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে প্রথমে তাঁকে সেফ হোমে াণ হবে। তারপর তাঁর শাররীক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে দেওয়া হবে। আবার তিনি সুস্থ হলে সেফ হোমে নিয়ে আসা হবে। প্রতিটি সেফে হোমের বাইরে ১০টি করে ambulance দাঁড়িয়ে থাকবে।”

রাজ্য সরকার যে নির্বাচনের মধ্যেও জরুরি ভিত্তিতে করোনা মোকাবিলায় সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেটা রাজ্যের মন্ত্রী, মুখ্যসচিবের কথা ও উদ্যোগেই বোঝা যাচ্ছে। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “আমাদের কাছে আগে মানুষের প্রাণ, তারপর নির্বাচন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.