কোলকাতার বুকে অমিত শাহ (Amit Shah) এর রোড শোয়ে তৃণমূলের হামলা। এরপর পণ্ডিত ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (Vidyasagar) মূর্তি ভাঙা নিয়ে এবার তদন্তের দ্বায়িত্ব নিলেন খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই পদক্ষেপে ফের নতুন করা অস্বস্তিতে পড়তে পারে রাজ্য সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় অমিত শাহ এর বিরুদ্ধে FIR করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ হইতে। এখন সেই অমিত শাহ দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা FIR অথবা ফৌজদারি কোন মামলা বেশিদিন ফেলে রাখা যায়না। এই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অমিত শাহ। রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এই মামলা তুলে দেওয়া হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই মূর্তি ভাঙা নিয়ে লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল ( SIT ) গঠন করেছে। রাজ্য সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার জাভেদ শামিম, ইনস্পেক্টর কৌশিক দাস ও বিদ্যাসাগরের কলেজের প্রিন্সিপ্যাল। কমিটির চেয়ারম্যান স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একাধিক বিজেপি এবং এবিভিপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যেহেতু তাঁদের হাতে নির্দিষ্ট কোন প্রমাণ নেই, এমনকি কলেজের সিসিটিভি ফুটেজও নেই, সেহেতু প্রমাণ না থাকার কারণে তাঁদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।
বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনার পর সিবিআই তদন্ত এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠেছে। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোন প্রমাণ ছাড়াই বারবার এই ঘটনার পিছনে বিজেপির নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এর বিরুদ্ধে এফআইআরও করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অরুনাভ ঘোষের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে অরুনাভ ঘোষ বলেন, ‘আমি চরম বিজেপি বিরোধী। কিন্তু আমি জানি এটা বিজেপি ভাঙেনি, তৃণমূল ভেঙেছে আর তাঁরা বিজেপির উপর দোষ চাপাচ্ছে।” এমনকি উনি এও বলেছিলেন যে, এই ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী এক আইনজীবী ওনাকে এই কথা বলেছেন।
অমিত শাহ এর এই পদক্ষেপের ফলে এবার বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার তদন্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর হাতে যেতে পারে, এবং এটা যদি হয়। তাহলে খুব শীঘ্রই মূর্তি ভাঙার আসল অপরাধীরা শাস্তি পাবে।