ফের হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের। প্রাথমিক টেটে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, দ্রুত এই নির্দেশ পালন করতে হবে রাজ্যকে। যে শংসাপত্র দেওয়া হবে, তার বৈধতা ২ বছর পর্যন্ত থাকবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে।
হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, “২০১৫ সালে এই প্রাথমিক টেটের বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল। পরীক্ষার পর ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালে। এই পরীক্ষায় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার পরীক্ষার্থী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলে নিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের শংসাপত্র দেয়নি রাজ্য। শংসাপত্র দেওয়ার দাবিতেই ১০০জন পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।”
মামলাকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়াটাই এনসিটিই-এর নিয়ম। ২০১১ সালে এনসিটিই-এর গাইডলাইনে দেওয়া ছিল, টেটে উত্তীর্ণদের সর্বাধিক ৭ বছর পর্যন্ত বৈধতা সম্পন্ন সার্টিফিকেট দিতে হবে। কিন্তু নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে এ কথা লেখা থাকলেও রাজ্য তা দেয়নি। শংসাপত্র হাতে থাকলে পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউতে অংশ নিতে কোনও সমস্যা হবে না পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু রাজ্য এই শংসাপত্র না দেওয়ায় এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন পরীক্ষার্থীরা। আর তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। বিচারপতির নির্দেশ পাওয়ার পরে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তির হাওয়া। এখন তাঁরা অপেক্ষা করছেন, কবে রাজ্য তাঁদের হাতে শংসাপত্র দেয়।