হজযাত্রীরা নিরাপত্তা পেলে কচুয়ার তীর্থযাত্রীরা পাবে না কেন…মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন দিলীপের

কচুয়াধামে দুর্ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, হজযাত্রীরা নিরাপত্তা পেলে কচুয়ার তীর্থযাত্রীরা তা পাবেন না কেন?

প্রতি বছরই কচুয়ার লোকনাথ মন্দিরে জন্মাষ্টমীর দিন ভক্তদের ভিড় হয়। সে জন্য আগের রাত থেকে ভক্তরা জড়ো হতে শুরু করেন। এবারও লাখ লাখ লোকের সমাগম হয়েছিল৷ বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে প্রচুর ভক্ত মন্দির চত্বরের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেন। রাত সাওয়া দুটো নাগাদ বৃষ্টি থামতে একসঙ্গে সকলেই মন্দিরে ঢুকতে শুরু করেন। সেই হুড়োহুড়িতে মন্দিরের পাঁচিলের দেওয়াল ভেঙে যায়।

মন্দিরের পাঁচিলের গায়ে বাঁশের কাঠামো এবং বেশ কিছু দোকান ছিল। সেগুলোও ভেঙে যায়। আতঙ্কে আরও হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর তাতেই রাস্তায় পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ছয় জনের৷ আহত হন কমপক্ষে ১৬ জন৷ আহতদের নিয়ে আসা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও এসএসকেএমে।

শুক্রবার হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে দাঁড়িয়েই মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ক্ষতিপূরণ দিলেই হবে না।সরকারকে গাফিলতির দায় নিতে হবে। কারণ এদিন যে ভিড় হবে সেটা প্রশাসন জানত৷ তাদের সেরকম ব্যবস্থা করা উচিত ছিল৷” এরপরই দিলীপ ঘোষের বলেন, “হজযাত্রীরা নিরাপত্তা পায়। সরকারই দেয়। এটা ভালো কথা। শুধুমাত্র একটা ধর্মের জন্য কেন হবে?”

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই কচুয়ায় যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। লোকনাথ মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মন্দির কমিটিকেই দোষারোপ করেছেন মন্ত্রী। বলেন, ‘মন্দিরের ভিতরে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব ছিল কমিটির। স্টলগুলি থেকে টাকা পায় কমিটি। এখন রাস্তার ধারে অস্থায়ী স্টল বসানোর অনুমতি তাদের কে দিল?’ দুর্ঘটনা এড়াতে কচুয়ায় মন্দিরের সামনে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন রাস্তা করে দেব যাতে একসঙ্গে অনেকে ঢুকতে না পারেন, এক এক করে ঢুকতে হবে এবং এক এক করেই বেরতে হবে। সরকার থেকে সব কিছুই করে দেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.