অধস্তনের কাছে ভোট-ডিউটি নয়, কোর্টে সরকারি কলেজ শিক্ষকরা

 অধস্তন কর্মীদের অধীনে ভোটের কাজ করতে চাই না, এমন দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল  নিখিল বঙ্গ রাজ্য সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি।

ভোটের কাজে শিক্ষকদেরও দরকার বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তার জন্য কমিশনের গাইডলাইন বা নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের কাজে যেতে হয় শিক্ষকদের। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং ভোটের কাজে যেতে হবে।

আদালতে এই সংগঠন দাবি করে, ভোটের কাজের জন্য শিক্ষকদের যে র‍্যাঙ্কের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কাজের সময় তার থেকে জুনিয়র র‍্যাঙ্কের কর্মীদের অধীনে তাঁদের কাজ করতে হতে পারে। মামলা ওঠে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে। সংগঠনের তরফ থেকে আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, শিক্ষকদের প্রিসাইডিং অফিসার, ফার্স্ট পোলিং অফিসার, সেকেন্ড পোলিং অফিসার ও  থার্ড পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ট্রেনিং চলাকালীন তাঁরা বুঝতে পারেন ভোটের দায়িত্ব সামলাবার সময় তাঁদের সেক্টর অফিসারের (বিডিও ) অধীনে কাজ করতে হবে। যেটা শিক্ষকরা একেবারেই চান না।

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী দীপায়ন চৌধুরী আদালতে জানান, শিক্ষকদের এই উষ্মা অমূলক। যে যা পদে রয়েছেন সেই পদের খেয়াল রেখে, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে কাজ করা উচিত।

দু’পক্ষকেই আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসাক। তিনি জানিয়েছেন, সংগঠন ও নির্বাচন কমিশনকে তাদের অভিযোগ লিখিত ভাবে আদালতে পেশ করতে হবে। দু’পক্ষের বয়ান শুনে, হলফনামা খতিয়ে দেখেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ মে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.