ইস্তফা নেওয়া হচ্ছে না, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আরও পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক

কর্ণাটকের রাজনীতিতে ফের নতুন মোড়। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আরও পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বিধায়করা।

এই পাঁচ বিধায়ক হলেন কে সুধাকর, রোশন বেইজ, এমটিবি নাগরাজ, মুনিরত্ন নাইডু ও আনন্দ সিং। অর্থাৎ এই নিয়ে মোট ১৫ জন বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস তাদের ৫০ জন বিধায়ককে শহরের বাইরে রিসর্টে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

এর আগে ১০ জন বিধায়ক একই অভিযোগ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় সওয়াল-জবাব। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, মঙ্গলবার হবে এই কর্ণাটক কাণ্ড নিয়ে শুনানি হবে। ততদিন অবধি স্থিতাবস্তা বজায় থাকবে। স্পিকারকে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিতে হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার। স্পিকার আদালতে বলেন, তিনি এখনও ইস্তফাপত্রগুলি ভালো করে দেখে উঠতে পারেননি। কারণ, অনেকেই তাঁর সঙ্গে বৃহস্পতিবার এসে দেখা করেছেন। এর উত্তরে বিচারকরা বলেন, স্পিকার কি মনে করেন, বিধায়কদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা না করার অধিকার শুধু তাঁর আছে, আদালতের নেই। তারপরেই জানিয়ে দেওয়া হয়, মঙ্গলবার হবে এই মামলার শুনানি।

গত শনিবার থেকে দফায় দফায় কর্ণাটকের মোট ১৮ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন শাসক কংগ্রেস ও জেডি এস জোটের সদস্য ছিলেন। বাকি দু’জন নির্দল বিধায়ক।

এদিকে, কর্ণাটকের বিধায়কদের পদত্যাগকে ঘিরে সমস্যার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিধানসভায় কর্ণাটকের ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে গত বুধবার ৷

গোটা ঘটনার নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কর্নাটকে বিধায়কদের বন্দি করা হয়েছে ৷ পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বিধায়কদের ৷ সরকার ভাঙার খেলা চলছে কর্নাটকে৷ সংকটে সংবিধান, সংকটে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ৷ এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা করছি ৷’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘এই সময় প্রত্যেকটি আঞ্চলিক দলের উচিত কর্ণাটকের হয়ে একজোট হওয়া ৷ এমনকী, সংবাদমাধ্যমেরও এগিয়ে আসা উচিত, এই ঘটনার বিরোধিতা করা উচিত ৷’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.