বেছে বেছে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যদের আলু রাখার বন্ড দেওয়া হচ্ছে না। শাসক দলের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যরা। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বাদাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত ঘটনা। এদিন সকল আলু চাষী সহ এলাকায় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যরা বিক্ষোভে সামিল হলেন।
সোমবার সকালে আলু বন্ড দেবার কথা ছিল গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর থেকে। আলু বন্ড নিতে এসে সকাল থেকে প্রধানের দেখা পায়নি এলাকায় বাসিন্দারা। তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে এদিন আসেননি বলে জানা গেছে। বাধ্য হয়ে সকলে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে বিক্ষোভে সামিল হলেন। যদি দ্রুত আলুর বন্ড বিলি না করা হয় তাহলে লোকসভা ভোটে কৃষকদের সমস্যা তুলে ধরবেন বিজেপি নেতা কর্মীরা বলে দাবি করেন। আলু বন্ড না পেয়ে আলু চাষীরা আলু মাঠেই ফেলে রেখেছে। কৃষকদের দাবি, দ্রুত আলুর বন্ড দিয়ে কৃষকদের রক্ষা করা হোক নইলে কৃষকদের আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়ে। বাহাদুর গ্রাম পঞ্চেতের বিরোধীতে রয়েছে বিজেপি। মোট আসন সংখ্যা ২০ টি। তার মধ্যে সাতটি বিজেপি দখলে বাকি আসন গুলি তৃণমূলের। এলাকায় কয়েক হাজার কৃষক রয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি বিরোধী দলনেতা তপন রায় বলেন,” ১২ মার্চ তারিখে তালিকা দেওয়া হয় আলু চাষীদের। আজকে বন্ড দেবার কথা কিন্তু প্রধান নেই। বিরোধী পঞ্চায়েতদের বন্ড দেবার কথা থাকলে সুত্র মারফত জানতে পেরেছে প্রধান নাকি বন্ড দিয়ে দিয়েছে কৃষকদের। শুধু মাত্র নিজের দলের কর্মীদেরকেই বন্ড দেওয়া হয়েছে। যারা বন্ড বিলি করেছে তারা বেছে বেছে তৃনমূলকে বন্ড দিচ্ছেন। রাজনিতি শুরু করেছেন। আমরা চাইছে সমস্ত কৃষকদের বন্ড দেওয়া হোক। যতক্ষন আলুর বন্ড পাচ্ছি না ততক্ষন আন্দোলন চলবে বলে জানায় তিনি।
আরও এক কৃষক নখিল চন্দ রায় বলেন, এলাকায় সাধারন মানুরা সকলেই কৃষক পরিবারের। এত কষ্ট করে আলু চাষ করলেও আলু বন্ড পাওয়া যাচছি না। এলাকায় সাড়ে সাতশো কৃষক থাকলেও কোন সুরহা হয়নি এখন আলুর বণ্ড নিয়ে। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলমে সামি হয়েছেন তারা।
অন্যদিকে গরাল বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এদিন এলাকায় কৃষকরা আন্দোলনে সামিল হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান তারা৷ দ্রুত আলু রাখার বন্ড না দিলে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। এলাকায় কয়েক হাজার কৃষক রয়েছে। তারা আলু বন্ড না পেয়ে মাঠেই রেখে দিয়েছেন। কেউ পাচ দিন কেউ বা সাত দিন ধরে মাঠে আলু রেখে পাহারা দিচ্ছেন। দ্রুত আলু গুলি হিম ঘরে না পাঠালে পচন ধরে যেতে পারে বলে ভয়ে রয়েছেন আলু চাষীরা। কেউ ব্যাঙ্ক থেকে ঋন করে আলুর চাষ করেছেন কেউ বা বাইরে থেকে সুদ নিয়ে আলু চাষ করেছেন।
এবছর আলুর দাম কম রয়েছে। তার পড়েও আলু বন্ড দিয়ে কালোবাজারি চলছে বলে অভিযোগ। দ্রুত আলুর বন্ড বিলি করার দাবি জানালেন আলু চাষীরা। কয়েকশো আলু চাষী এদিন গরালবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত হাজির হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এদিকে প্রধান ও উপপ্রধান অঞ্চল অফিস থেকে থেকে বের হয়ে যায়। এলাকায় কৃষকেরা বলেন, আলু রাখার জন্য বন্ড দেওয়া না হলে আমাদের আত্মহত্যা করতে মরতে হবে। এদিকে জেলা শাসক শিল্পা গৌরী সারিয়া বলেন, “আলুর বন্ড দিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে গরালবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত বিষয়টি দেখে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ দিয়েছি। বাহাদুরের একই সমস্যা হয়েছে সেই বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।