তৃণমূলের শেষের শুরু হয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে তাদের আর ফেরার কোনও সম্ভাবনা নাই। মানুষ আর এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতেও চান না। তাই রাজ্যজুড়ে ভয়ের রাজনীতি শুরু করেছে। আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ায় অরাজকতা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। আমফান সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। সবক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে কাটমানি। বাংলায় চলছে শুধু লুট। তাই তৃণমূলকে বাংলার লোক আর চায় না। এখানে আইন-শৃঙ্খলা বলেও কিছু নেই। সভা করতে গেলে নাড্ডার মতো নেতাদের গাড়িতে বড় বড় পাথর মারা হয়। এরাজ্যে তিনশো বিজেপি কার্যকর্তা খুন হয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, কোচবিহার, ঝাড়গ্রাম, আরামবাগ, কাঁথি, বিষ্ণুপুর এবং পুরুলিয়াতে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল কত লোককে মারবে? বিজেপির সভা দেখুন লাখ লাখ মানুষের ভিড়। বাংলার এসব মানুষের আওয়াজ শুনুন দিদি। তারা পরিবর্তন চাইছেন। মোদীজির নেতৃত্ব বাংলার মানুষ বাংলায় সরকার গড়বে। সব সমস্যার সমাধানে মোদীজি কাজ করবেন। যারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন তারা সবাই বাংলায় নতুন সরকার গড়ার জন্য লড়াই করবেন।
জনতার উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজেপিকে পাঁচ বছর সময় দিন। সোনার বাংলা করে দেবো। তৃণমূলকে ছুড়ে ফেলতে সভায় উপস্থিত জনতার সহযোগিতা চান অমিত শাহ। অমিত শাহ বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি দিনের পর দিন অন্যায় করা হয়েছে বলেই তিনি আজ তৃণমূল ছেড়েছেন। তাকেও ভয় দেখানো হচ্ছে। ভয়ের রাজনীতি চলছে বাংলায়। বক্তব্য শেষে অমিত শাহ বলেন, তৃণমূলের শেষের শুরু হয়েছে। আগামী বিধানসভায় তা দেখবেন সারা ভারতবর্ষে মানুষ।