নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে একাধিকবার শোকজ করা হয়েছে তাঁকে। জবাব দিয়েছেন। কিন্তু নিজের ফর্ম থেকে সরেননি। এ বার সেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে সাবধান করার জন্য তৃণমূলকেই চিঠি লিখছে কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারই এই চিঠি দেওয়া হবে বাংলার শাসক দলকে।
কমিশনের এই পদক্ষেপকে কড়া পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতার বক্তব্যকে ‘লজ্জাজনক’ বলে ওই চিঠিতে কমিশন উল্লেখ করছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিবার ভোট এলেই তাঁর কোনও না কোনও তত্ত্ব রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দেয়। কখনও গুড় বাতাসা তো কখনও চড়াম চড়াম। লোকসভার কয়েক মাস আগে থেকে পাচনের দাওয়াই শোনানোর পর এখন কেষ্টবাবুর নতুন তত্ত্ব নকুলদানা। এ নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ জানিয়েছিল কমিশনে। কিন্তু তার পরেও অনুব্রত থেকেছেন অনুব্রততেই।
কমিশনের শো-কজ কোনওভাবেই বিব্রত করতে পারেনি অনুব্রতকে। বরং তারপর তিনি বলেছিলেন, “নির্বাচন কমিশনও নকুলদানা খায়।” এই বক্তব্য নির্বাচন কমিশনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে বলে দাবি তুলেছিল বিরোধী দলগুলি।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন ব্যক্তি অনুব্রতকে কারণ দর্শাতে বলেছিল কমিশন। কিন্তু এ বার সরাসরি তাঁর দলকে সাবধানবাণী শুনিয়ে দেওয়া হল। অনেকের মতে, ব্যাপারটা যে জায়গায় চলে গেল তাতে এরপর আর একটা আলটপকা কথা বললে অনুব্রত মণ্ডলকে সেন্সর করতে পারে কমিশন।
২০১৩-র পঞ্চায়েত থেকে সংবাদ শিরোনামে আসতে শুরু করেন অনুব্রত। সে বারই প্রকাশ্য সভা থেকে দলীয় কর্মীদের হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পাড়ুইয়ের একটি সভা থেকে অনুব্রত পুলিশের গাড়িতে বোম মারার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপর যত ভোট এসেছে অনুব্রত ফিরেছেন আলাদা আলাদা শব্দবন্ধ নিয়ে। এখন দেখার অনুব্রতর মুখে লাগাম টানতে তৃণমূল কী ব্যবস্থা নেয়।