দুর্গা বাহিনীর প্রতিরোধে জেরবার SFI, গেরুয়া সদস্যদের আটকাতে মোতায়েন হল বিশাল পুলিশ বাহিনী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপি নেতা তথা আসনসোলের সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে মারধর করে আবারও শিরোনামে আসার চেষ্টা বাম ছাত্র সংগঠনের। আজ এবিভিপি-এর একটি অনুষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আর সেখানেই ওনাকে ধরে মারধর করে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা, নেত্রীরা। চারিদিকে সহিষ্ণুতার বুলি আওড়ানো বামেদের কাছে এই অসহিষ্ণুতা হয়ত কেউ আশা করেছিলেন না। এমনকি বাম ছাত্র সংগঠনের এই অগণতান্ত্রিক কাজের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ‘ কোন জন প্রতিনিধিকে কালো পতাকা দেখা যেতেই পারে। এটা গণতন্ত্রের অধীনে পড়ে। কিন্তু ওনাকে মারধর করা এবং ওনার কলার ছিঁড়ে দেওয়া একদমই সমর্থন যোগ্য না। প্রতিবাদের একটা ধরণ আছে, আর এটা সেই ধরণের মধে পড়ে না।”

বামাদের এই আক্রমণের পর সোচ্চার হয়েছে এবিভিপি ও দুর্গাবাহিনী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর চার নম্বর গেটে ভাঙচুর চালাল এবিভিপি ও দুর্গাবাহিনী। এসএফআইয়ের ইউনিয়ন রুমে ঢুকে পড়ে গেরুয়া বাহিনীর সদস্যেরা। রাস্তায় বাম ছাত্র সংগঠনের প্ল্যাকার্ড আর পোস্টার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গেরুয়া বাহিনী। এমনকি কমিউনিস্ট নেতা চে গুয়েভারা-এর পোস্টারে কালি ছিটিয়ে বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া বাহিনী। এই ঘটনার পরেই যারা বাবুল সুপ্রিয়কে মারার জন্য বাম ছাত্র সংগঠনের প্রশংসা করছিলেন। তাঁরাই আবার কান্নাকাটি শুরু করে বিজেপি, আরএসএস, বাবুল সুপ্রিয়, এবিভিপি এবং সমস্ত গেরুয়া সংগঠনকে ফ্যাসিস্ট বলা শুরু করে দেয়।

এবিভিপি আর দুর্গা বাহিনী কোনরকমে চার নম্বর গেট দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর তাঁদের আটকানোর জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বাবুল সুপ্রিয় শুধুমাত্র বিজেপির একজন নেতা অথবা সাংসদ না, উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। আর ওনার উপরে হামলা করে যাদবপুরের বাম ছাত্র সংগঠন বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তাঁরা মানুষ দ্বারা নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের সন্মান দেবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.