এটা ওদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তবে দলের বিদ্রোহকে জল ঢেলে শান্ত করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সুর বদল প্রসঙ্গে মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের৷
শনিবার দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শতাব্দী রায়ের। তার আগে জল্পনা বাড়িয়ে শতাব্দী বলেন,’অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলা বা না বলাটা বিরাট ব্যাপার নয়। আমি এমপি, উনি মিনিস্টার, দেখা করতেই পারি।’ এরপরই শতাব্দীর মানভঞ্জনে তৎপর হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন দুপুরেই শতাব্দী রায়ে আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে কুণাল ঘোষকে পাঠায় তৃণমূল। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। শতাব্দীকে ফোন করেছিলেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাও।
এদিন সন্ধ্যেয় কুণালই শতাব্দীকে নিয়ে যান ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে। সেখানে ঘণ্টা দুয়েক বৈঠকের পর শতাব্দী বলেন,’আমার সব অভিযোগ অভিষেককে জানিয়েছি। তার সমাধান হয়ে যাবে। আমি রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে এসেছিলাম। এখনও মমতার সঙ্গে আছি।’কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন,’শতাব্দী দলেই থাকছেন।’
উল্লেখ্য, দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতেই তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে বিজেপিতে স্বাগত জানালেন দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সকালে তিনি বলেন, ‘সবাইকে স্বাগত।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘তৃণমূলে কোনও দিন এক সুর ছিল না। পুলিশ আর লাঠির ভয়ে সবাই এক সুরে কথা বলত। বাঁধন আলগা হতেই একের পর এক নেতা মনের কথা বলতে শুরু করেছেন।’ সঙ্গে জানান, ‘বিজেপিতে সবাই স্বাগত। শতাব্দীও ব্যতিক্রম নন।’
বৃহস্পতিবার ফেসবুক পেজে কারও নাম না করে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শতাব্দী। বলেন, ‘দলের একাংশ আমাকে দলের কর্মসূচির কথা জানায় না। আমি দীর্ঘদিন আমার সংসদীয় এলাকার মানুষের কাছে যেতে পারছি না।’ শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ক্ষোভের কথা কাউকে জানাইনি কারণ, জানিয়ে লাভ হবে বলে মনে হয়নি। এর পরই তিনি জানান দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। সেখানে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।