গতকাল দিলীপ ঘোষের কনভয়ের উপর হামলা হয়েছে, আজ বিচার চেয়ে কমিশনে গেল বিজেপি। বুধবার নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার কটাক্ষ করেন, ”সিইও-তে পুলিস রিপোর্ট এসেছে, তা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বসে তৈরি হয়েছে।”
জয়প্রকাশ এদিন আরও বলেন, ”আক্রমণের বিবরণ জানিয়েছি। নারকীয় আঘাত হয়েছে গণতন্ত্রের ওপর।” তাঁর অভিযোগ, ”কাল ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। ওসি, এমএলএ একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন। এমএলএ রঞ্জিত মন্ডলের নেতৃত্বে হামলা হয়।” গোটা ঘটনায় পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার জয়প্রকাশ মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, ”৩ ঘন্টা ধরে হামলা চলছিল। এসপি, ওসি কী করছিলেন? দিলীপ ঘোষ, হেমন্ত বিশ্বশর্মার জেড প্লাস নিরাপত্তা না থাকলে কাল খুন হয়ে যেতেন।” তিনি বলেন, ”মাথার ওপর যিনি আছেন, তিনি হেরে যাবেন বুঝতে পেরে খুন করতে চাইছেন।”
এদিন ওই জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসক ও নির্দিষ্ট থানার আইসি-কে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলে বিজেপি। ১২ তারিখ নির্বাচনের আগেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান জয়প্রকাশ মজুমদার সহ অন্য বিজেপি নেতারা।
প্রসঙ্গত, গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা হয়। ঘটনায় অভিযুক্ত শাসক দল। গতকালই জেলাশাসকের কাছে এই ঘটনার রিপোর্ট চায় নির্বাচন কমিশন। আর আজ কমিশনে মঙ্গলবারের ঘটনার অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি জেলার একধিক প্রশাসনিক কর্তাকে সরানোর দাবি তোলা হল গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য এই বিষয়ে এখনই কিছু জানায়নি।