আসন্ন কালীপুজো উপলক্ষে শুক্রবার পুলিশের তরফে বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বালুছায়া অনুষ্ঠান ভবনে বিশেষ বৈঠক করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। আর এই বৈঠককে ঘিরেই তৈরি হল জোর বির্তক। কালীপুজোকে সামনে রেখে পুলিশি বৈঠকেও পিছু ছাড়ল না রাজনৈতিক বিতর্ক।
যেখানে সরকারি বৈঠকের অনুষ্ঠান মঞ্চে শুধুমাত্র তৃণমূল নেতাকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে সেই তৃণমূল নেতার নাম ও দলীয় পদ মাইকে ঘোষণা করা হয়। সরকারি বৈঠকে কেন শুধুমাত্র শাসক দলের নেতাকে আসনে বসানো হল? অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কেন আসনে বসার জন্য ডাকা হল না? এমন নানা বির্তক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে এনিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগও জানিয়ে ফেলেছে বিজেপি। শুধুমাত্র বিজেপি নয়, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরএসপি-ও।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে আসন্ন কালিপুজো নিয়ে বালুরঘাট থানার অন্তর্গত পুজো উদ্যোক্তা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। যেখানে হাজির ছিলেন বালুরঘাট থানার আইসি অসীম গোপ, ট্রাফিক ওসি বাবুল হোসেন, বালুরঘাট টাউন তৃণমূল সভাপতি বিমান দাস সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। এদিনের বৈঠক মঞ্চে তৃণমূল বালুরঘাট টাউন সভাপতি বিমান দাসকে বসানো নিয়েই তৈরি হয়েছে জোর বির্তক। এমন ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি বলে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।
তাঁদের দাবি, যেখানে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন, সেখানে শুধুমাত্র কোনও একটি বিশেষ দলের প্রতিনিধিকে আসনে বসানো মানে অন্যদের অপমান করা। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার ক্ষোভে ওই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন বলে জানান।
অন্যদিকে আরএসপির রাজ্য সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। এটা আজকের ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত হল। এমন ঘটনা অতীতে ঘটেনি। আজ এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল বালুরঘাটবাসী।
যদিও বিষয়টি ঠিক ভাবে জানা নেই বলে এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল। বলেন, পরে খোঁজ নিয়ে জানাতে পারবেন। তাঁর সংযুক্তি, কোথায় কী ঘটনা ঘটল, সেদিকে নজর না দিয়ে আসন্ন কালিপুজোয় যাতে সকলেই কোভিডবিধি মেনে পুজো করেন তার জন্য বারবার আবেদন করছি।
অন্যদিকে সাংবাদিকদের কাছে এই বিতর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা পুলিশ প্রশাসন। শুধুমাত্র কী নিয়ে বৈঠক, সেটুকুই সাংবাদিকদের জানান ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ।