ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ফণী। পরিস্থিতি রীতিমতো চিন্তার হয়ে উঠছে প্রশাসনের কাছে। ইতিমধ্যে বাংলা এবং ওডিশাতে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা সহ উপকূলবর্তী এলাকায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভায় কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। যে কোনও পরস্থিতির জন্যে কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।
মঙ্গলবার এই বিষয়ে আগাম সতর্কতা হিসাবে একটি জরুরি বৈঠক হয়ে গিয়েছে নবান্নে। সাইক্লোন আছড়ে পড়ার কীভাবে তা মোকাবিলা করা সম্ভব তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকেই সরকারি এবং সমস্ত সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল। কিন্তু যেভাবে সাইক্লোন এগিয়ে আসছে তাতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে ইতিমধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কার্যত কলকাতা সহ বাংলার উপর থেকে ঘন্টায় ১০০ কিমি বেশি গতিতে ঝড় বয়ে যাওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি ধ্বংসাত্বক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর সেই আশঙ্কা থেকেই কার্যত গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হল বলে মনে করছে শিক্ষামহলের একাংশ।
ইতিমধ্যে এই নির্দেশিকা রাজ্যের সমস্ত স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, FANI ওডিশা উপকূলে পৌঁছাতে পারে ৩ মে। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০-১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ওডিশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়বে FANI, এই ঝড়ের তাণ্ডবে একেবারে ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে গোটা ওডিশাজুড়ে।
পাশাপাশি বাংলাতেও সতর্ক প্রশাসন। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে দিঘা সহ সংলগ্ন সমস্ত সৈকত জুড়ে। চলছে প্রচার। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে যে কোনও মুহূর্তে ওডিশা ও অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফণীর। যার অভিঘাত ভয়ালো এবং ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হওয়া অফিস।