উনিশশো সাতচল্লিশে স্বাধীনতার প্রাক্কালে দেশভাগ আর বঙ্গবিভাগ বিংশ শতাব্দীতে বাঙ্গালির ইতিহাসে সবচেয়ে যুগান্তকারী ঘটনা। ১৯৪৭ সালে হিন্দু-মুসলমান দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগের অনিবার্য পরিণতি হলো এই বঙ্গবিভাগ। হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে এইভাবে আড়াআড়ি ভাবে বঙ্গভাগ বাঙ্গালির জীবনে এক নতুন সংকটের জন্ম যেমন দিয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন ভাবে এই বাঙ্গলাকে বোঝা ও জানারও সুযোগ এনে দিয়েছে। বিভাগপূর্ব ভারতে বঙ্গবিভাগের আলাদা তাৎপর্য থাকলেও শেষ বিচারে বঙ্গবিভাগও কিন্তু হয়েছে সেই দ্বিজাতিতত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই।
সাধারণ্যে এই কথা চালু আছে যে, ইংরেজদের ‘বিভাজন করে শাসন করার নীতির মধ্যেই নিহিত আছে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদের বীজ! কিন্তু বাঙ্গলার ইতিহাস আনুপূর্বিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ব্রিটিশ শাসনের অনেক আগে থেকেই বাঙ্গলায় হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছিল। হয়তো তার বহিঃপ্রকাশ সবসময় হতো না। কিন্তু তার একটা অন্তঃসলিলা প্রবাহ যে ছিল তা অস্বীকার করা যাবে না। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ও তাই কোনও অসাম্প্রদায়িক বাতাবরণ তৈরি হয়নি। কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে হিন্দু ও মুসলমানের চেতনায় ছিল দুস্তর ব্যবধান। তারা একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠতে পারেনি। ত্রয়োদশ শতকে মুসলমান আগমনের সময় থেকেই এই ব্যবধান তৈরি হয়েছে; পারস্পরিক অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব এসব শুরু থেকেই ছিল। ইতিহাস একটু ঘাটলেই সেটা বোঝা যায়। সুলতানি আমলে বহিরাগতমুসলমান শাসকরা বাঙ্গলায় অনুপ্রবেশ করে রাজত্ব করলেও এদেশের বাসিন্দা, হিন্দু বাঙ্গালি তাদের মেনে নিয়েছিল; তাঁদের অধীনে কাজ করেছিল। হোসেন শাহকে হিন্দু বাঙ্গালি কবি ‘গৌড়েশ্বর’ উপাধিতে ভূষিত করেছেন। মুসলমান। শাসকদের হিন্দুরা মেনে নিয়েই নিজেদের। চালিত করেছে। কিন্তু মুসলমান সুলতানি যুগে যখন রাজা গণেশ বাঙ্গলার রাজা হলেন তখন কিন্তু মুসলমানরা তাকে মেনে নিলেন না, তার প্রজাহিতৈষী কার্যকলাপ সত্ত্বেও।
কিন্তু একথা অস্বীকার করবার উপায় নেই যে, ত্রয়োদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক অবধি বাঙ্গলা ছিল বহিরাগত মুসলমান অধিকারে। তারই মধ্যে রাজা গণেশ নিজের যোগ্যতায় বাঙ্গলার রাজপদে আরোহণ করেন। একক কৃতিত্বের দিক থেকে রাজা গণেশের তুলনা খুব কম শাসকের সঙ্গেই করা যায়। সুলতানি যুগে এই একজন হিন্দুর পক্ষেই সমগ্র বাঙ্গলায় শাসন করা সম্ভব হয়েছিল। সুলতানি যুগে এই প্রথম কোনো হিন্দু রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা একান্তভাবেই বাংলাদেশের, বাঙ্গালির শাসন। ঐতিহাসিক সুখময় মুখোপাধ্যায় এ সম্পর্কে বলেছেন, “এর আগে যে সমস্ত মুসলমান সুলতান এদেশে রাজত্ব করেছিলেন, তাদের পিতৃভূমি ছিল বাইরে। তারা নিজেরাও বাঙ্গলাকে নিজেদের স্বদেশ বলে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে পারেননি। কিন্তু বাঙ্গালি রাজা গণেশ যেদিন ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হলেন, সেদিন থেকে বাঙ্গলার রাজশক্তির সঙ্গে বাঙ্গলার জনসাধারণের অন্তরের যোগ স্থাপিত হলো।” কিন্তু মুসলমানেরা রাজা গণেশকে মেনে নিতে পারল না। তারা নানাভাবে গণেশকে উত্যক্ত করতে লাগল। রাজা গণেশ রাজদরবারে আসীন অবস্থায় বদর-উল-ইসলাম তাকে অভিবাদন না করে অসম্মান করে। এতে তিনি ওই দরবেশ ও কয়েকজন উলেমাকে শাস্তি দেন। দরবেশদের নেতা নূর কুতব আলম জৌনপুরের সুলতান ইব্রাহিম শারকিকে চিঠি লিখে বাঙ্গলা আক্রমণ করে, রাজা গণেশকে নিহত করতে আবেদন করে। জৌনপুরের আরেক দরবেশ আশরাফ সিমনানিও তাদের সাহায্য করে। আবার নবাবি আমলে, আজিমুস্বানের আমলে রাজা সীতারাম রায় স্বাধীনভাবে ভূষণায় রাজত্ব শুরু করলে তাকেও নবাবের দেওয়ান মুর্শিদকুলি খাঁ সহ্য করতে পারেনি। অন্য জমিদারদের বাধ্য করে তাকে সাহায্য করতে এবং তাদের সাহায্য নিয়ে মুর্শিদকুলি খাঁ রাজা সীতারামের পতন ঘটায়। এমন আরও অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। সুতরাং হিন্দু-মুসলমানের দ্বন্দ্ব শুরু থেকেই ছিল। এই দ্বন্দ্বের পেছনে ইংরেজদের ‘হাত’ খোঁজা তাই এক বাতুলতা।
স্বাধীনতার সময়ে সাধারণ বাঙ্গালি হিন্দুরা কোনো অখণ্ড, স্বাধীন, সার্বভৌম বাঙ্গলার স্বপ্ন দেখেনি। তারা ভারতবিচ্ছিন্ন কোনও বাঙ্গলার কথাও ভাবেননি, তারা অখণ্ড ভারতের উত্তরাধিকারই চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশভাগ ও স্বাধীনতার প্রাক্কালে হঠাৎই তারা শুনল, কয়েকজন নেতা স্বাধীন সার্বভৌম, অখণ্ড বাঙ্গলার স্বপ্ন ফেরি করতে শুরু করেছে। বাঙ্গলাকে অখণ্ড রেখে স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি দেশ হিসেবে গঠন করার একটা প্রস্তাব করেছিলেন বাঙ্গলার তিন প্রভাবশালী নেতা। এঁরা হলেন, হাসান শাহিদ সোহরাওয়ার্দি, লিগ নেতা আবুল হাশিম এবং শরৎচন্দ্র বসু। পরে এঁদের সঙ্গে যুক্ত হন কিরণশঙ্কর রায় এবং যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। যদিও শেষোক্ত দুজন পরে এই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছিলেন। এঁদের মধ্যে কলকাতা নরসংহারের কুখ্যাত নায়ক সোহরাওয়ার্দিসম্পর্কে অনেকেইসন্দেহ পোষণ করতেন। তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা না ছিল তার নিজের দল মুসলিম লিগের কাছে, না ছিল হিন্দুদের কাছে। গভর্নর-জেনারেল মাউন্টব্যাটেন এবং বাঙ্গলার গভর্নর বারোজ দুজনেই তাকে সন্দেহ করতেন। প্রায় দুশো বছরের ইংরাজ শাসনে ইংরেজদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব সত্ত্বেও মুসলমানরা বিশেষ উন্নতি করতে পারেনি; কিন্তু দেশের শাসনের উপর কর্তৃত্ব করবার ইচ্ছে তাদের ষোলো আনা ছিল। আর ইচ্ছে ছিল হিন্দুদের উপর কর্তৃত্ব করা ও তাদের উপর দমন-পীড়ন চালানো। বাঙ্গলায় সোহরাওয়ার্দির প্রধানমন্ত্রিত্বের কালে তারা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই ১৯৪৬-এর ১৬ আগস্টকে Day of Deliverance বা পরিত্রাণ দিবস’ ঘোষণা করে কলকাতার হিন্দুদের উপর ব্যাপক আক্রমণ ও অত্যাচার শুরু করে; এটা হয়তো মুসলিম। লিগের নেতা ও গুন্ডাদের একটা পরীক্ষামূলক অভিযান ছিল। কিন্তু এই দাঙ্গার বীভৎসতা হিন্দুদের মধ্যে মুসলমানদের সম্পর্কে এক দুরপনেয় সন্দেহ ও অবিশ্বাস তৈরি করে দেয়। বাস্তব অভিজ্ঞতায় হিন্দুদের এই বোধ হয় যে, মুসলমানদের সঙ্গে একসঙ্গে বসবাস করা সম্ভব নয়। এই ঐতিহাসিক সত্য তারা ভুলতে পারেনি। মুসলিম লিগ এবং জিন্নাহ চেয়েছিল। সমগ্র বাঙ্গলাকেই তার প্রস্তাবিত পাকিস্তানে নিয়ে আসতে; এ ব্যাপারে বাঙ্গলায় তার সহায়ক ছিল সোহরাওয়ার্দি। সুতরাং যখন জিন্নাহ পাকিস্তান আদায়ের ব্যবস্থা করে ফেললেন তখন তাঁর দোসর সোহরাওয়ার্দি মুসলিম লিগের প্রক্সি প্ল্যান’ ‘Independent, Undivided, United Sovereign Bengal’ বা ‘অখণ্ড, স্বাধীন, সার্বভৌম বাঙ্গলার’ প্রস্তাব নিয়ে এলেন।
এমত অবস্থায় তৎপর হয়ে উঠলেন বাংলার হিন্দু নেতারা। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তো ছিলেনই, সঙ্গে পেলেন হিন্দু মহাসভার নেতা নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সনৎ কুমার রায়চৌধুরী, সূর্যকুমার বসু এন সি চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ ব্যক্তিকে। বাস্তবে ১৯৪৬-এর নরসংহারের সময়েই মুসলমানদের হাত থেকে হিন্দুদের রক্ষা করবার জন্যই হিন্দু মহাসভা এই দাবি উত্থাপন করে। আর সোহরাওয়ার্দির নেতৃত্বে লিগ মন্ত্রীসভা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়াতেই হিন্দুদের মধ্যে এই দাবির প্রতি সমর্থন ক্রমান্বয়ে বেড়ে যায়। এই প্ররিস্থিতিতে ১৯৪৭ সালের ৪ এপ্রিল তারকেশ্বরে হিন্দু মহাসভার তিনদিনের সম্মেলন শুরু হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, হিন্দু মহাসভা ভারতের মধ্যেই দুটি রাজ্য হিন্দু প্রধান পশ্চিমবঙ্গ এবং মুসলমান প্রধান পূর্ববঙ্গ চেয়েছিল। তারা ভারতভাগ চাননি। মহাসভার ওই সম্মেলনে ৫ এপ্রিল শ্যামাপ্রসাদ তার ভাষণে বললেন, “Ican conceive of no other solution of the communal problem in Bengal than to divide the province and let the two major communities residing herein live in peace and freedom.” শ্যামাপ্রসাদের এই বক্তব্যে কোনো সাম্প্রদায়িক সুর ছিল না। বরং, কলকাতা ও নোয়াখালি দাঙ্গার মাধ্যমে মুসলিম লিগ প্রস্তাবিত পাকিস্তান হিন্দুদের কাছে কেমন। হতে পারে তার একটা আস্বাদ দেবার যে চেষ্টা করেছিল তা থেকে হিন্দুদের মুক্তি দেবার চেষ্টা ছিল এই প্রস্তাবে। হিন্দু মহাসভা সম্মেলনের একই দিনে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ৪ এপ্রিলের বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভায় ‘বঙ্গবিভাগের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেই সভায় বিশেষ আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত ছিলেন ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়োগী, ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়, নলিনীরঞ্জন সরকার, ড. পি এন বন্দ্যোপাধ্যায়, কুমার দেবেন্দ্রলাল খান, মাখনলাল সেন ও অতুলচন্দ্র গুপ্ত। শ্যামাপ্রসাদ বঙ্গীয় কংগ্রেসের ‘বঙ্গ বিভাজন’ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। এরপরে, ২২ এপ্রিল নতুন দিল্লির এক জনসভায় শ্যামাপ্রসাদ বলেন, “This separation must not be dependent on Pakistan. Even if Pakistan is not conceded and some form of a weak and loose centre envisaged in the Cabinet Mission Scheme is accepted by the Muslim League, we shall demand the creation of a new province composed of the Hindu majority areas in Bengal. এখানে স্মর্তব্য যে, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যগণ বর্ধমানের মহারাজা উদয়চাঁদ মহতাব, পি এন সিংহরায়, কাশিমবাজারের মহারাজা শ্রীশচন্দ্র নন্দী, মহারাজকুমার শীতাংশুকান্ত আচার্যচৌধুরী, মহারাজা প্রবেন্দ্রমোহন ঠাকুর, অমরেন্দ্রনারায়ণ রায় প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি এই বঙ্গবিভাগ সমর্থন করেন।
এছাড়া শ্যামাপ্রসাদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন বাঙ্গলার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা। ভাষাতত্ত্ববিদ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ঐতিহাসিদ্ধয় ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার ও স্যার যদুনাথ সরকার, পণ্ডিত রামশঙ্কর ত্রিপাঠী, ড. মাখনলাল রায়চৌধুরী, বৈজ্ঞানিক ড. মেঘনাদ সাহা ও ড. এ মিত্র প্রমুখ ড. শ্যামাপ্রসাদের মত সমর্থন করলেন। শনিবারের চিঠিতে সম্পাদক সজনীকান্ত দাস লিখলেন, ‘পৃথক হইয়া যাওয়াই ভালো’। জিন্নাহ যে যুক্তিতে ভারতভাগ করতে চেয়েছিলেন সেই যুক্তিতেই শ্যামাপ্রসাদও বাঙ্গলাকে বিভক্ত করতে চেয়েছিলেন। ফলে কংগ্রেস এর বিরোধিতা করার যুক্তি খুঁজে পায়নি। কিন্তু সোহরাওয়ার্দি ও জিন্নাহ তাদের হতাশা গোপন করতে পারেননি। জিন্নাহ গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনের কাছে আবেদন জানালেন, *Please do not give me motheaten Pakistan.’ কিন্তু জিন্নাহও শেষ অবধি অখণ্ড বাঙ্গলা প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান, কারণ তার অভিসন্ধি ছিল, ‘…an independent Bengal would be a sort of Subsidiary Pakistan…’ এর অব্যবহিত পরে বাঙ্গলাভাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক বাগবিতণ্ডা হয়েছে, তর্কবিতর্ক হয়েছে আর ড.শ্যামাপ্রসাদ অতন্দ্র প্রহরীর মতো সতর্ক থেকে সেদিকে নজর রেখেছেন।
এছাড়া এই সময়ে অমৃতবাজার পত্রিকা এক জনমত সমীক্ষার আয়োজন করে যাতে ৯৮ শতাংশের বেশি হিন্দু বঙ্গ বিভাজনের পক্ষে রায় দেন। শেষে ড. শ্যামাপ্রসাদ গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনেকে ১৯৪৭-এর ২ মে ৯ দফা যুক্তি দেখিয়ে আবেদন করে ‘বঙ্গ বিভাজন’ এর প্রস্তাব কার্যকর করতে আহ্বান জানান। সুতরাং বাঙ্গলাকে ভাগ করে হিন্দু বাঙ্গালির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির কৃতিত্ব অবশ্যই তার। যদি অখণ্ড ভারতে হিন্দু-মুসলমান একত্রে মিলেমিশে না থাকতে পারে তাহলে অখণ্ড বাঙ্গলায়ও তারা একত্রে মিলেমিশে থাকতে পারবে না; তিনি তাই চেয়েছিলেন বাঙ্গলাকে ভাগ করে পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টি করতে। তার ওই আবেদনের একমাস পরে ২ জুন, ১৯৪৭ বাঙ্গলা বিভাজন এবং দেশভাগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ড. শ্যামাপ্রসাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও তার সমর্থক ও বুদ্ধিজীবীদের সাহায্যে গড়ে উঠে হিন্দু বাঙ্গালির বাসস্থান, পশ্চিমবঙ্গ। ভারতের সংসদে দাঁড়িয়ে শ্যামাপ্রসাদ জওহরলাল নেহরুকে বলেছিলেন, ‘You have divided India, I have divided Pakistan.’I
বিনয়ভূষণ দাশ
2019-05-02