টানা চারদিন ধরে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ছাড়িয়েছিল চারশোর গণ্ডি। অবশেষে মঙ্গলবার সাময়িক স্বস্তি ফিরেছিল। চারশোর নিচে নামে সংক্রমিতের সংখ্যা। একদিনে মৃতের সংখ্যা দশে আটকায়। কিন্তু বুধবার ফের একলাফে বাড়ল ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যাটা। তাই সংক্রমিতের পরিমাণ খানিকটা কমলেও করোনার দাপট যে অব্যাহত, তা বলাই বাহুল্য।
এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৩ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা টপকে গেল ৯ হাজারের গণ্ডি। মোট আক্রান্ত ৯ হাজার ৩২৮-তে। এদের মধ্যে অ্যাকটিভ কেস ৫ হাজার ১১৭। স্বাস্থ্যদপ্তরের গত কয়েকদিনের পরিসখ্যানে নজর রাখলে দেখা যাবে, আনলক ওয়ান পর্বে প্রতিদিনই অল্প অল্প করে বেড়েছে নমুনা পরীক্ষার হার। কিন্তু মঙ্গলবার ছবিটা ছিল খানিকটা আলাদা। দেখা যায়, একদিনে ৭ হাজার ৮০২টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। আর এতেই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি টেস্টের পরিমাণ কমাতেই আক্রান্তের সংখ্যা কম? তবে এদিন টেস্টের পরিমাণ আগের মতোই বাড়ল। ২৪ ঘণ্টায় টেস্ট হল ৯,৫১৯। এখনও অবধি মোট ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪১৯টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার বলি ১৭ জন। স্বাস্থ্যদপ্তর নয়া তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৪৩২ জন COVID-19 রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫৯ জন। রাজ্যে মোট করোনামুক্ত ৩,৭৭৯ জন।
আনলক ওয়ানে অনেকটাই স্বাভাবিক জনজীবন। সংক্রমণের আশঙ্কা উপেক্ষা করেই বাস-অটোয় যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। বাজার-মার্কেট প্লেসেও উপচে পড়া ভিড়। খুলে গিয়েছে শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ। প্রতিক্ষেত্রেই সরকার করোনা রুখতে নিয়মবিধি জারি করেছে। কিন্তু মানছে কতজন? বাসের উপচে পড়া ভিড়েই আতঙ্কের ছবিটা স্পষ্ট। এরই মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ টেস্ট না হলে পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে, সে আশঙ্কাই করছেন বিশেষজ্ঞরা।