চন্দননগরে (chandannagar) করোনা (corona)আক্রান্ত তৃণমূল নেতার (Tmc leader)থেকে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ জন। শনিবার এদের প্রত্যেকের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি জেলা প্রশাসনের কোনও আধিকারিক। তবে এরা প্রত্যেকে একজনের থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলার এক পদস্থ সরকারি আধিকারিক।
গত ৪ মে চন্দননগরে তৃণমূল নেতার দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। জানা যায়, তিনি তৃণমূলের স্থানীয় লঙ্গর পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। ফলে সেখানকার কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দেয়। একই সঙ্গে জানা যায়, গোটা এপ্রিল মাস জুড়ে চন্দননগরের উর্দিবাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে ত্রাণ দিয়েছেন তিনি। ফলে স্থানীয় সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। এখানেই শেষ নয়। চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই তৃণমূল নেতার। সেখানেও সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দেয়।
ঘটনার পরই উর্দিবাজার ঘিরে দেয় প্রশাসন। কারা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তা জানতে ময়দানে নামেন প্রশাসনের কর্মীরা। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতার সংস্পর্শে মোট ৭৬ জন এসেছেন বলে চিহ্নিত হয়। তাদের সিঙুরের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার তাদের ৪৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এমনটাই জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক।
ওই তৃণমূল নেতা চন্দননগর পুর এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড টিন দিয়ে ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন। কাউকে সেখানে ঢুকতে বা বেরোতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। হুগলি জেলায় এখনো পর্যন্ত ১২০ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৭২ জনই চন্দননগরের। তৃণমূলের ওই নেতার সৌজন্যে আপাতত করোনা-হাবে পরিণত হয়েছে একদা গৌরবময় ফরাসি উপনিবেশ।