নারদকাণ্ডের তদন্তেও নতুন গতি আনল সিবিআই। কলকাতার মেয়র থাকাকালীন নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই তদন্তে ইতিমধ্যেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। জেরা করা হয়েছে শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ও বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এবার সেই মামলায় জেরা করা হল কলকাতা পুরসভার তিন আধিকারিককে।
শুক্রবার নিজাম প্যালেসে জেরার মুখোমুখি হওয়া তিন আধিকারিকের মধ্যে রয়েছেন মেয়র থাকাকালীন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওএসডি অম্লান লাহিড়িও। অন্য দু’জন আধিকারিক ছিলেন দীনদয়াল সিং ও প্রিয়জিৎ ঘোষ।
কয়েকদিন আগেই আধিকারদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি পাঠায় সিবিআই। সেখানেই বলা হয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন যাঁরা ভিআইপি করিডরে ডিউটি করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে নারদ তদন্তে সহযোগিতা চায় সিবিআই। জানা গিয়েছে, মূলত প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবেই পুর আধিকারিকদের তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সিবিআই সূত্রের খবর, নারদ টিভির ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী ভিআইপি করিডর হয়েই পুরসভায় মেয়রের চেম্বারে যান ম্যাথু স্যামুয়েল। সেদিন ঠিক কী কী হয়েছিল, কারা কারা ম্যাথুর সঙ্গে ছিলেন এসব নিয়েই তিন আধিকারিককে জেরা করে সিবিআই। ম্যাথু স্যামুয়েল যেই সময়ে পুরসভায় গিয়েছিলেন সেই সময়ের কোনও সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
তাই প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ নিতেই সিবিআই জেরা করেন আধিকারিকদের। সেই সময়ে মেয়ের সঙ্গে কে কে ছিলেন তার ভিডিও নারদ ফুটেজে না থাকলেও কণ্ঠস্বর ছিল। সেগুলি কাদের কণ্ঠস্বর তাও আধিকরিকদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।