বাংলা থেকে উদ্ধার ১৪টি উট, বড়সড় পশু পাচার চক্রের পর্দাফাঁস

চোরাপথে একের পর এক রাজ্য পেরিয়ে অবশেষে বাংলার কুশমন্ডি থানার পুলিশের হাতে উদ্ধার পেল ১৪ টি উট।

উদ্ধার উটগুলিকে সু-দূর রাজস্থান থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিল চোরাকারবারিরা। ১৪ টি উট বোঝাই লরি দীর্ঘ প্রায় ১৬হাজার কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে এলেও তা কারও নজরেই পড়লো না। পথে রাজস্থান মধ্যপ্রদেশ উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের পুলিশের চোখে ধূলো দিতে পারলেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের নজর এড়াতে আর পারলো না পশু পাচারকারীরা।

শনিবার সকালে গোপন সূত্রে এলাকার সন্নাসীতলা উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেট লাগানো একটি লরিকে দাঁড় করায় কুশমন্ডি থানার পুলিশ। সেটিতে তল্লাশী চালিয়ে মোট ১৪টি উট উদ্ধার করেছে। পশু পাচারের বেআইনি এই কারবারের সাথে জড়িত লরির চালক সমেত মোট চারজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে অ্যানিমেল ক্রুয়েল্টি এক্টে মামলাও রুজু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উট নিধন ও পাচার রুখতে ২০১৫ সালে রাজস্থান সরকার আইন প্রনয়ন করে।

যা রাজস্থান ক্যামেল অ্যাক্ট ২০১৫ নামে পরিচিত। পাচার বা নিধন হওয়ার আগে একসাথে ১৪টি উট উদ্ধারের এই ঘটনাকে পুলিশের সাফল্য বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছেন পশুপ্রেমিরা।

দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার প্রসূন ব্যানার্জি জানিয়েছেন যে কোনও ধরণের চোরাচালান আটকাতে এই জেলার পুলিশ আগে থেকেই তৎপর। উদ্ধার উট গুলি লরিতে চাপিয়ে রাজস্থান থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিল পাচারকারীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কুশমন্ডি থানার পুলিশ লরিটিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালায়। ভেতর থেকে মোট ১৪ টি পূর্ণবয়স্ক উট উদ্ধার করা হয়েছে। ঠিক কী উদ্দেশ্যে সেগুলিকে পাচার করে আনা হচ্ছিল তা জানতে ধৃতদের জেরা চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.