CAA , বিজ্ঞাপন , পাত্রী

 গত রবিবারের এক বাংলা দৈনিকে এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের এই হাইস্কুলের শিক্ষক পাত্র। বিয়ের এহেন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তবে কি এনআরসি’র খোঁচা এবার পাত্র-পাত্রীর কলামেও?  নাহলে আর এমন বিজ্ঞাপন কেন?

 ২৯ বছর বয়সি এই পাত্রের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ায়। কিন্তু চাকরিসূত্রে তিনি থাকেন মুর্শিদাবাদে। বছর কয়েক হল চাকরি করেন। যে ফোন নম্বরটি সংবাদপত্রে দেওয়া রয়েছে, সেটি পাত্রের জামাইবাবুর। বিজ্ঞাপন দেখে তাই সোমবার বিকেলে ফোন করা হল সেই নম্বরে। প্রথমটায় বলতে না চাইলেও পরে জামাইবাবুই যুক্তি দিয়ে বোঝান বিষয়টি। “দেখাশোনা করে যখন শ্যালকের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তখন সব কিছু যাচাই করে নেওয়াই ভাল নয় কি! বিয়ের পর যদি এনআরসিতে নাম বাদ যায়! তবে তো অন্য দেশে পাঠিয়ে দেবে বউকে। বিয়ের পর বউ চলে গেলে তখন শ্যালকের হবে কী! তার চেয়ে আগে থেকেই সব দেখে নেওয়া ভাল।” বলেন জামাইবাবু। তিনি আরও জানান, পাত্রের বিশেষ কিছু চাহিদার কথা তো বলা হয়নি। শুধু চাওয়া হয়েছে এদেশের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র। সেটা না থাকলে তেমন মেয়েকে বিয়ে করবে না তাঁর শ্যালক।

“ঘোষ ২৯/ ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি, হাই স্কুল শিক্ষক, এইচ এস পাস, ৫ ফুট ১ ইঞ্চি ঊর্ধ্বে ভারতীয় ১৯৭১-এর আগের প্রমাণ-সহ ঘোষ পাত্রী চাই।”

 নাগরিকত্বের জন্য তো ভোটার কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে। তাহলে পাত্রীর পরিবারের ১৯৭১-এর আগের এ দেশের প্রমাণ চাওয়ার কী আছে! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, “দেখুন চতুর্দিকে এনআরসি নিয়ে অশান্তি চলছে। তাতে আধার-ভোটার কার্ডের কী গুরুত্ব, তাই-ই বুঝতে পারছি না। তার থেকে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এ দেশের স্থায়ী বাসিন্দা, তাঁদের বাড়ির মেয়ের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।”

 এবার প্রশ্ন হচ্ছে যিনি এই সব কারবার করেছেন তিনি কি  জানেন যে CAA কি ? আদৌ কোন বছরটি কাট অফ ইয়ার? কি বলা হয়েছে বিলে? তিনি তো শিক্ষক….তাঁর যদি এই মন হয় তাহলে ছাত্রদের কি অবস্থা হবে আপনারা ভেবেছেন?
কেন কেন বার বার এই ধরনের ভুল ব্যাখ্যাকে হলুদ সাংবাদিকতা হাইলাইট করে সাধারণ মানুষের নিকট ভুল বার্তা পৌঁছনোর কাজ করছে?

সঠিক ধারণার জন্য পড়ুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.