আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, তারপরই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে গেরুয়া ঝড় তুলতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি রাজ্যে দুটি সভা করবেন। প্রথমে শিলিগুড়ি ও পরে কলকাতার ব্রিগেডে বাংলার মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। জানাগেছে, বেলা একটায় প্রথম সভা শুরু হবে শিলিগুড়ির কাওয়াখলি ময়দানে। এরপর তিনি কলকাতায় আসবেন। আনুমানিক সাড়ে তিনটে নাগাদ তিনি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের মঞ্চে উপস্থিত হবেন। কলকাতায় ভাষণ শেষ করেই তিনি আবার উড়ে যাবেন অসমের উদ্দেশ্যে।
কম সময়ের মধ্যে এই সভা করলেও কোনও খামতি নেই।শেষ মুহূর্তের সভার প্রস্তুতি সরজমিনে ক্ষতিয়ে দেখতে দফায় দফায় কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ সহ অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ পরিদর্শনে গিয়েছেন।
বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান ঐতিহাসিক সভা করতে অন্যান্য দলের মত দু বা তিন মাস সময় নেওয়া হয়নি, মাত্র ১০ দিনেই বিজেপি এই কাজ করে দেখিয়েছে।
দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, দিনরাত এক করে কর্মীরা কাজ করছে, সভা সফল হবেই। ১০ লক্ষ মানুষের জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আসরে নেমেছে বিজেপি বলে তিনি জানান।
কড়া রোদের জন্য ব্রিগেডে অভিনব কায়দায় মঞ্চ তৈরি করার হয়েছে। জার্মান হ্যাঙ্গার দিয়ে শামিয়ানা তৈরি করা হয়েছে। মোট ১২টি তাঁবু তৈরি করা হয়েছে। মেদিনীপুরের জনসভা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারে মূল মঞ্চ থেকে দর্শকদের বসার স্থানের মধ্যে অনেকটা খালি জায়গা রাখা হয়েছে। এখানেই তৈরি করা হয়েছে ‘ডি’ অঞ্চল। যার দায়িত্বে থাকবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী বা এসপিজি। এর পরবর্তী পর্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ডিজি পদাধিকারীকরা। বাইরে থেকে পুরো সভাটা ঘিরে রাখবে পুলিশ বাহিনী। তার পরের বেষ্টনীতে থাকবে দলীয় কর্মীরা। এভাবেই চারটি বেষ্টনী দ্বারা ঘিরে রাখা হবে সভাস্থল। এছাড়াও থাকবে বিশেষ মনিটরিং সেল, ড্রোন ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা যা দিয়ে সমস্ত সভাস্থল নজরে রাখা হবে।
সভাস্থল ঘিরে রুটিন চেকআপে এসেছেন এনএসজি কমান্ডাররাও।
নরেন্দ্র মোদী সহ বিশেষ বিশেষ অতিথি ও অন্যান্য বিশিষ্ট জনদের বসার জন্য ছয়টি ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে মঞ্চের পেছন দিকে। আবার বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের রাতে থাকার জন্য সামিয়ানার মধ্যেই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরমে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে জন্য পানীয় জলের পাউচ প্যাকেট ও জলের গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা মাঠের বিভিন্ন কোনায় থাকবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা হবে বায়ো টয়লেট। সভাস্থলে থাকবে বিশেষ চিকিৎসকদের দল, হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে তার চিকিৎসা করবেন। সব মিলিয়ে জমজমাট হতে চলেছে ব্রিগেডের জনসভা।