ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৯ এর প্রথম দফার নির্বাচন শেষের পরে তার ২০১৪ সালে জেতা আসন কে বজায় রাখতে পারবে : ইন্টারেকটিভ মানচিত্র দ্বারা ২০১৯ সালে আসনের বিন্যাসের এক পরিসংখ্যান বোঝা যেতে পারে ।
২০১৪ সালের বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের ভাগ ও বর্তমানের এনডিএর অন্যান্য দল গুলির প্রাপ্ত ভোটের ভাগের অভিক্ষেপ অনুযায়ী ২০১৯ এ প্রথম দফার ভোটে বিজেপি তাদের ৩২ টি আসন ধরে রাখতে সক্ষম হবে যদিও অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা তে তারা ভালো ফল করবে না । তেলেগু দেশম পার্টি কিন্তু বিজেপির সাথে জোট ভাঙায় নির্বাচনে প্রতিকূল পরিস্হিতির সম্মুখীন হবে ।
এই উপরোক্ত ইন্টারাকটিভ ম্যাপে ২০১৯ এ সম্ভাব্য আসনের বিন্যাসের এক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হল যা ২০১৪ এর প্রাপ্ত ভোট শেয়ার ও বর্তমান দলীয় পরিস্হিতিকে মাথায় রেখে । যাতে দেখা যায় বিজেপি তেলেঙ্গানা সেকেন্দ্রাবাদ , অন্ধ্রের বিশাখাপত্তনম ও নরসপুরম, উত্তরপ্রদেশের বাগপত ও বিজনোর আসনে ২০১৯ এ সম্ভাব্যভাবে পরাজিত হবে যা ২০১৪ তে তাদের দখলে ছিল কিন্তু তারা তাদের ২০১৪ তে প্রাপ্ত বাকি আসন গুলিতে ২০১৯ এও সম্ভাব্যভাবে জয়লাভ করবে । এছাড়াও মনিপুরের ১টি , ত্রিপুরার ১টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ২টি আসনে বিজেপি সম্ভাব্যভাবে জয়লাভ করবে যার ফলে ৪টি আসন তারা জিততে পারে ২০১৯ এ যা ২০১৪ সালে তারা পায় নি।
আলিপুরদুয়ারে ২০১৪ তে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ২৭.৪১% এবং তৃণমূল পেয়েছিল ২৯.৫৮% ভোট । ভোটের মার্জিন যদিও খুব কম ছিল এবং বর্তমানে বিজেপির পশ্চিমবাংলায় যেভাবে প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বলাবাহুল্য আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বিজেপি সম্ভাব্য বিজয়ী হবে । এই দুই আসন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী হওয়ায় প্রচারের সময় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ও তাদের তোষণকারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনরোষ প্রকাশ্য ছিল । তাই হয়ত বিজেপি পূর্বতন তৃণমূল যুবনেতা নিশীথ অধিকারী ও তৃণমূল পূর্বতন ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা পরেশ অধিকারীকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে ।
অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়েরর একটি করে আসনও সম্ভাব্যভাবে বিজেপি জয়ী হয়ে ৯১ টির মধ্যে ৩২ টি ( যা২০১৪ সালে বিজেপি পেয়েছিল ) আসন নিজেদের দখলে সম্ভাব্যভাবে রাখবে বা তার থেকে কিছু বেশীও হতে পারে । ঐ ৯১ আসনে নির্বাচন ১১ ই এপ্রিল সম্পন্ন হয়েছে । YSR কংগ্রেস যদি তাদের ২০১৪ সালের প্রাপ্ত ভোট বজায় রাখতে পারে তাহলে অন্ধ্রপ্রদেশে
টিডিপি ও বিজেপির জোট ভেঙে যাওয়ার পুরো সুবিধা পেতে পারে ।